প্রাক্তন হতেই উঠল ‘বহিষ্কৃত’ তকমা! তৃণমূলের কর্মসূচিতে সাংসদদের সঙ্গে কুণাল ঘোষও
তৃণমূল সাংসদদের ধরনায় হাজির সদ্য প্রাক্তন হওয়া তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ। এতদিন ছিলেন বহিষ্কৃত। কিন্তু প্রাক্তন হতেই উধাও বহিষ্কৃত তকমা। আবার দলের কর্মসূচিতে তিনি।
তৃণমূল সাংসদদের ধরনায় হাজির সদ্য প্রাক্তন হওয়া তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ। এতদিন ছিলেন বহিষ্কৃত। তাঁকে কোনও দলীয় কর্মসূচিতেই দেখা যেত না। কিন্তু প্রাক্তন হতেই উধাও বহিষ্কৃত তকমা। আবার দলের কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গেল তাঁকে। সোমবার সংসদ চত্বরে তৃণমূল সাংসদদের ধরনায় অংশ নিলেন কুণাল ঘোষ। এদিন সেই ছবি নিজের ফেসবুক পেজে আপলোডও করেন প্রাক্তন সাংসদ।
সোমবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার ৭৬ শতাংশ বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সংসদ চত্বরে ধরনা দেন তৃণমূল সাংসদরা। সেই বিক্ষোভে তৃণমূল সাংসদের পাশে ছিলেন কুণাল ঘোষ। গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে তিনিও প্রতিবাদ জানান বিলগ্নীকরণের। তৃণমূল সাংসদরা আওয়াজ তুলতে থাকেন এই বিলগ্নীকরণের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না।
তৃণমূলের প্রাক্তন সাসংদ কুণাল ঘোষ আগেই জানিয়ে দেন, তিনি তৃণমূলের কর্মী হয়েই থাকবেন। সেই নিরিখে এদিনের দলীয় কর্মসূচিতে তাঁর অংশ নেওয়া তাৎপর্যপূর্ণ। এর আগে তিনি সংসদের সেন্ট্রাল হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়। তারপর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুণাল ঘোষের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করে।
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও টুইটারে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি টুইটারে লেখেন, এয়ার ইন্জিয়ার বিলগ্নীকরণ মেনে নেওয়া হবে না। এয়ার ইন্ডিয়া দেশের সম্পদ। তাই এই সংস্থার বিলগ্নীকরণের সিদ্ধান্ত খুবই দুঃখজনক। এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করতে হবে। আমরা কিছুতেই দেশকে বিক্রি করতে দেব না।
[আরও পড়ুন: মমতার সরকারকে কড়া চিঠি মানবাধিকার কমিশনের, রামনবমী-কাণ্ডে রিপোর্ট তলব]