কুম্ভমেলায় বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ ! আয়োজন থেকে ব্যবস্থাপনা তাক লাগায় অনেককেই
আধ্যাত্মবাদ, ধর্মীয় আচার আর ঈশ্বভাবনার এক অসামান্য মিশেল কুম্ভমেলা। 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ' তকমায় ভূষিত এই ধর্মীয় সমাবেশের পরতে পরতে রয়েছে ঐতিহ্য আর বিশ্বভ্রাতৃত্ববোধের এক অমোঘ ভাবনা।
আধ্যাত্মবাদ, ধর্মীয় আচার আর ঈশ্বভাবনার এক অসামান্য মিশেল কুম্ভমেলা। 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ' তকমায় ভূষিত এই ধর্মীয় সমাবেশের পরতে পরতে রয়েছে ঐতিহ্য আর বিশ্বভ্রাতৃত্ববোধের এক অমোঘ ভাবনা। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগে আয়োজিত অর্ধকুম্ভ মেলাকে কেন্দ্র করে কয়েকটি তথ্যের দিকে নজর রাখা যাক।
কুম্ভমেলা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
কুম্ভমেলা ও অর্ধকুম্ভ মেলার মধ্যে রয়েছে কিছুটা পার্থক্য। সাধারণ কুম্ভমেলা প্রতি ৪ বছর অন্তর আয়োজিত হয়। প্রতি ছয় বছর অন্তর হরিদ্বার ও প্রয়াগে (প্রয়াগরাজ) অর্ধকুম্ভ আয়োজিত হয়। প্রতি ১২ বছর অন্তর প্রয়াগ, হরিদ্বার, উজ্জ্বয়িনী ও নাসিকে পূর্ণকুম্ভ আয়োজিত হয়। বারোটি পূর্ণকুম্ভ অর্থাৎ প্রতি ১৪৪ বছর অন্তর প্রয়াগে আয়োজিত হয় মহাকুম্ভ মেলা।
সঙ্গমে শাহি স্নান
মে কার হয়, গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতী নদীর সঙ্গমে মকর সংক্রান্তির দিন পূণ্য শাহি স্নান দেহ ও মনকে পবিত্র করে তোলে। এই স্নান হিন্দুশাস্ত্র মতে পূণ্যলাভের সমান।
পূণ্যস্নানের দিনক্ষণ
১৫ জানুয়ারি থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই অর্ধকুম্ভমেলা। জানুয়ারির ১৫ তারিখের পর, ২১ জানুয়ারি, ৪ ফেব্রুয়ারি, ১০ ফেব্রুয়ারি, ১৯ ফেব্রুয়ারি, মার্চ ৪ পূণ্যস্নারে তিথি রয়েছে।
প্রস্তুতি কেমন?
১২ কোটিরও বেশি ভক্তসমাগমে আপাতত উৎসবের মেজাজ এই শহরে। লক্ষ লক্ষ পূণ্য়ার্থী ব্রিজ পার করে সকাল থেকেই সঙ্গমের 'শাহি স্নানে ' ব্যস্ত ছিলেন।কুম্ভমেলা উপলক্ষ্যে প্রায় ৩০, হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে য়োগী প্রশাসনের তরফে। সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। কোনও ভাবেই যাতে কেু নিখোঁজ না হন, তার জন্য রয়েছে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন ট্যাগ। গোটা এলাকাকে স্যাটেলাইট টাউন-এর রূপ দেওয়া হয়েছে।
ব্যবস্থাপনা
২০১৯ সালের কুম্ভমেলা উপলক্ষ্যে ১০০ এরও বেশি ক্যামেরা , ১৫০টি ওয়াটার ট্যাঙ্ক, ২০ হাজার ডাস্টবিন, ১২২,০০ টি শৌচালয়, ৪০ টি ওয়াচ টাওয়ার ৪০ টি দমকলের গাড়ি, ১০০ টি হ্যান্ডপাম্পের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মোতায়েন রয়েছএ ১৫ হাজার সাফাই কর্মী।
পানীয়জল ও রাস্তা
কুম্ভমেলা চত্বরে বানানো হয়েছে প্রায় ৩০ কিলোমিটারের মত রাস্তা। প্রয়াগ আপাতত পরিণত হয়েছে তাঁবু শহরে! ৫, ০০০ টি পানীয় জলের পোস্ট বসানো হয়েছে দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য।
জন জোয়ার
মনে করা হচ্ছে ,মহাশিবরাত্রির দিন কুম্ভমেলায় প্রায় ১৫০ মিলিয়ন পূণ্যার্থীর ভিড় হবে। এই সংখ্যা রাশিয়ার জনসংখ্যাকেও হার মানাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা উত্তরপ্রদেশকে।