ভাগ্য নির্ধারণ হল না কর্নাটকের, যে অঙ্কে আটকে রয়েছে কুমারস্বামী সরকারের আস্থা
আস্থা ভোটে আস্থা নেই কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের। শুক্রবারের ডেডলাইন শেষ হয়ে গেলেও হল না আস্থা ভোট। পিছিয়ে গেল আস্থা ভোট। সোমবারের আগে আস্থা ভোটের সম্ভাবনা ক্ষীণ।
আস্থা ভোটে আস্থা নেই কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের। শুক্রবারের ডেডলাইন শেষ হয়ে গেলেও হল না আস্থা ভোট। পিছিয়ে গেল আস্থা ভোট। সোমবারের আগে আস্থা ভোটের সম্ভাবনা ক্ষীণ। ফলে আরও তিনদিন কর্ণাটকের কুর্সি থেকে কুমারস্বামীকে সরাতে পারবে না বিজেপি। গভর্নরের নির্দেশ অমান্য করে কুমারস্বামীর যুক্তি, স্পিকারই শেষ কথা বলবেন।
রাজ্যপাল বাজুভাই বালা দেড়টার মধ্যে আস্থা ভোটের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই ডেডলাইন পেরিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যা ছ-টার মধ্যে আস্থা ভোট করে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তাও হল না। কর্নাটকে নাটক অব্যাহত। এখন দেখার জন্য জল কতদূর গড়ায়। আপাতত সোমবার আস্থা ভোটের সম্ভাবনা।
এ দিন আস্থা ভোট নিয়ে কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী বলেন, আলোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও ভোটাভুটি হবে না, ভোটাভুটি করা উচিত নয়। তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পকে কটাক্ষ করে বলেন, আপনার সরকার গড়তেই পারেন। তাই তাড়াহুড়ো করবেন না। আস্থা ভোট সোমবার কিংবা মঙ্গলবারও যেতে পারে।
K'taka Assembly fails to meet Governor's deadline, trust vote likely on Monday
— ANI Digital (@ani_digital) July 19, 2019
Read @ANI Story | https://t.co/dz6yhGMUzn pic.twitter.com/A1QNfKMXh6
উল্লেখ্য, কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের পরে বিজেপিকেই সরকার গঠন করতে ডেকেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা প্রয়োজনীয় সমর্থন জোগাড় করতে পারেননি। ফলে তাঁর সরকার পড়ে যায়। ক্ষমতায় আসে জেডিএস-কংগ্রেস সরকার। মুখ্যমন্ত্রী হল জেডিএসের কুমারস্বামী। প্রয়োজনীয় সংখ্যা ছিল কুমারস্বামীর পক্ষে। তবে সম্প্রতি ১৫ জন বিধায়ক কংগ্রেস ও জেডিএস থেকে পদত্যাগ করায় ফের সংকটে কর্নাটক সরকার।
বর্তমানে ১৫ বিধায়কের ইস্তফাপত্র গৃহীত হলে জোট সরকারের হাতে থাকবেন ১০১ বিধায়ক। আর বিজেপির হাতে তাকবে ১০৫ বিধায়ক। থাকবেন বিজেপি সমর্থিত দুই নির্দল বিধায়ক। এই অবস্থা ২২4 আসনের কর্নাটক বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার কমে দাঁড়াবে ১০৫-এ। ফলে বিজেপিই হবে সংখ্যাগরিষ্ঠ পার্টি। কারণ জোট সরকারের পক্ষে যখন ১০১ জন, বিজেপির পক্ষে ১০৭ জন বিধায়ক।