লোকসভা ভোটে ধরাশায়ী কংগ্রেস-জেডিএস জোট, কর্ণাটকে ইস্তফার ইঙ্গিত কুমারস্বামীর
সারা দেশেই মুখ থুবড়ে পড়েছে জোট। কর্ণাটকেও তার অন্যথা ঘটল না। কংগ্রেস-জেডিএস জোটকে পর্যুদস্ত করে জয়জয়কার হল বিজেপির। এই গেরুয়া ঝড়ে একইসঙ্গে টলে গেল কর্ণাটক সরকারও।
সারা দেশেই মুখ থুবড়ে পড়েছে জোট। কর্ণাটকেও তার অন্যথা ঘটল না। কংগ্রেস-জেডিএস জোটকে পর্যুদস্ত করে জয়জয়কার হল বিজেপির। এই গেরুয়া ঝড়ে একইসঙ্গে টলে গেল কর্ণাটক সরকারও। কর্ণাটকের কংগ্রেস-জেডিএস জোটের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। পরিস্থিতি যা ভোট গণনা শেষে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে।
কর্ণাটকের ট্রেন্ড
কর্ণাটকে ২৮টি আসনের মধ্যে মাত্র দুটি কেন্দ্রে কংগ্রেস-জোট এগিয়ে রয়েছে। ২৪টি কেন্দ্রে বিজেপি এগিয়ে। বাকি দুটি কেন্দ্রে এগিয়ে অন্যান্যরা। কংগ্রেস-জেডিএস জোটের ভরাডুবি হয় এই রাজ্যে। এরপরই সংকট তৈরি হয়ে কর্ণাটক সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সরকার ভেঙে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন।
কংগ্রেস ও জেডিএস জোট ধরাশায়ী
এবার লোকসভায় কর্ণাটকে কংগ্রেস ও জেডিএস জোট গড়ে নির্বাচন লড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এই জোট এবার বিজেপিকে ধরাশায়ী করবে, এমনই প্রবণতা লক্ষ করা গিয়েছিল প্রথমে। কিন্তু ভোট যত এগিয়েছে, ততই সংকট বেড়েছে কর্ণাটকে। কর্ণাটকের জোট সরকারের ব্যর্থতাকে প্রচার তুলে ধরেই মাত করে বিজেপি।
সরকার ভেঙে দেওয়ার ইঙ্গিত
এক্সিট পোলের পর থেকেই কর্ণাটকে জোটের মুখ থুবড়ে পড়ার ইঙ্গিত ছিল। ফলাফলের ট্রেন্ড আসতে শুরু করতেই তা চূড়ান্ত হতে থাকে। মাত্র দুটি আসনে কংগ্রেস ও জেডিএস জোট এগিয়ে রয়েছে। বাকি ২৬টি আসনেই শোচনীয় পরাজয়ের সামনে পড়ে এই জোট। তারপরই ইস্তফা দিয়ে সরকার ভেঙে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন কুমারস্বামী।