পাকিস্তানের বুলি আওড়াতে বাধ্য হলেন কুলভূষণ, চোখে-মুখে স্পষ্ট মানসিক চাপ
গ্রেফতারের পর এই প্রথম অবসরপ্রাপ্ত নৌসেনা অফিসার কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে দেখা করে কথা বললেন ভারতীয় কুটনীতিকরা।
গ্রেফতারের পর এই প্রথম অবসরপ্রাপ্ত নৌসেনা অফিসার কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে দেখা করে কথা বললেন ভারতীয় কুটনীতিকরা। সোমবার কুলভূষণের সঙ্গে কথা বলার পর ভারতীয় হাই কমিশনার গৌরব আলুওয়ালিয়া বলেন, পাকিস্তানের শেখানো বুলি আওড়াচ্ছেন কুলভূষণ। তাঁর মিথ্যা বিবরণে স্পষ্ট তিনি চাপের মধ্যে রয়েছেন।
বিদেশমন্ত্রক সূত্রে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তাঁকে দেখেই মনে হয়েছিল তিনি স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। তাঁকে মানসিক চাপে রাখা হয়েছে। তাঁর চোখে-মুখে ফুটে উঠেছে সেই আতঙ্কের ছাপ। মুখে যাই বলুন, তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন- তিনি ভালো নেই। ঘণ্টা খানেকের কথায় অনেক কিছুই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
এই বৈঠকের পর ভারত চিন্তাভাবনা করছে কুলভূষণকে নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হতে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, যাদবের উপর যে চাপ ছিল তা স্পষ্ট। পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের কাছ থেকে বিশদ প্রতিবেদন পাওয়ার পরে আন্তর্জাতিক আদালতে ন্যায়বিচারের আবেদন করব।
প্রথমবার ভারত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পাকিস্তান কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে দেখা করার দ্বিতীয় প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছিল পাকিস্তানি সুরক্ষা কর্মীরা এই সভায় উপস্থিত থাকবেন এবং কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। তাই ভারত মেনে নেয়নি প্রথমবার। সোমবার বৈঠক হয় সেই শর্ত তুলে নেওয়ার পর।
উল্লেখ্যে ২০১৬ সালে কুলভূষণ যাদবকে গ্রেফতার করা হয়। তার তিন বছর পর কথা বলার সুযোগ পেলেন ভারতীয় কূটনীতিকরা। বারবার তাঁর সঙ্গে দেখা করার আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তান কোনও সাড়া দেয়নি। গত ১৭ জুলাই আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশে পাকিস্তান বাধ্য হয়ে বৈঠকের ছাড়পত্র দেয় পাকিস্তান।
[আরও পড়ুন:ঢালাই রাস্তা তৈরিতেও কাটমানি! একে অপরকে দুষল বিজেপি-তৃণমূল]
[আরও পড়ুন: মালিকের উপর রাগ করে কী কাণ্ড ঘটাল পরিচারক]