‘কুছ তো লোগ কহেঙ্গে’, কোভিড ভ্যাকসিন গুজবের বিরুদ্ধে এভাবেই লড়ছে সরকার
‘কুছ তো লোগ কহেঙ্গে’, কোভিড ভ্যাকসিন গুজবের বিরুদ্ধে এভাবেই লড়ছে সরকার
১৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে কোভিড–১৯–এর বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন ড্রাইভ। কিন্তু এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই টিকাদান নিয়ে বিভিন্ন খবর সামনে আসতে শুরু করেছে। যার ফলে অগ্রাধিকার তালিকায় স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট করা হয়েছিল, তা পূরণ হতে বেশ দেরি হচ্ছে। সেই কারণে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এক সৃজনশীল পোস্টার প্রকাশ করেন, যাতে লেখা রয়েছে, 'কুছ তো লোগ কহেঙ্গে, লোগো কা কাম হ্যায় কহনা’। মূলতঃ এই পোস্টারের উদ্দেশ্য হল ভ্যাকসিন সচেতনতা ও গুজবে পা না দিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে দ্বিধা দূর করা। যাতে তাঁরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কোভিড টিকাদানে যোগ দেন।
সামনের সারির স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে থেকে দ্বিধা দূর করতে এই পোস্টার, কারণ তাঁরাই করোনার টিকাদান অগ্রাধিকার তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছেন। আসলে এর জন্য অসময়ে অনুমোদিত কোভ্যাকসিন এবং তার কিছু বিরূপ ঘটনা দায়ি, যার কারণে স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে মুষ্টিমেয় কয়েকটি পোস্টারে মাধ্যমে অনিচ্ছুক সুবিধাভোগীদের ভ্যাকসিন নিয়ে গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এমনকি পোলিও বিরোধী অভিযানের সময়ও সরকার একই ধরনের প্রচার চালিয়েছিল। ভারতীয়দের কানে এখনও বাজে 'দো বুন্দ জিন্দেগী কি।’
ভ্যাকসিন সচেতনতার পোস্টারে যে ট্যাগলাইন দেওয়া হয়েছে তা ১৯৭২ সালে বলিউডের বিখ্যাত ছবি অমর প্রেমের একটি জনপ্রিয় গানের লাইন, 'কুছ তো লোগ কহেঙ্গে, লোগো কা কাম হ্যায় কহনা’, আর একটি পোস্টারে লেখা, 'বিমারি সে ডরে, টিকে সে নেহি (ভয় পান অসুখকে, টিকাকে নয়)’। তৃতীয় পোস্টারে লেখা, 'আসুন আমরা গুজবের বিরুদ্ধে লড়াই করি।’ এই পোস্টারগুলিতে এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া, নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পাল, আইসিএমআর প্রধান বলরাম ভার্গভ এবং আরও অন্যান্য বিশিষ্ট স্বাস্থ্য আধিকারিকদের উদ্ধৃতি রয়েছে।