মহিলাদের প্রতি অবহেলা! ভোটের মুখে ছত্তিশগড়ের কোরবায় 'অভিযুক্ত' সবদলই
ছত্তিশগড়ের কোরবায় ১১ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও, কোনও দলই মহিলাকে মনোনয়ন দেয়নি। তবে নিজের দলের মনোনয়ন না পাওয়ায় পালি তানাখর থেকে এক মহিলা নির্দল হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন।
ছত্তিশগড়ের কোরবায় ১১ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও, কোনও দলই মহিলাকে মনোনয়ন দেয়নি। তবে নিজের দলের মনোনয়ন না পাওয়ায় পালি তানাখর থেকে এক মহিলা নির্দল হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। অন্য অনেকে মনোনয়ন তুললেও, তা আর পেশ করেননি বলে সূত্রের খবর। এই জেলায় গত ৬৫ বছরে একজনও মহিলা বিধায়ক পায়নি।
কোরবায় মোট ভোটদাতা ৮.১৬ লক্ষ। পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৪.০৯ লক্ষ এবং মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৪.০৬ লক্ষ। পুরুষ এবং মহিলা ভোটারের সংখ্যায় ফারাক না থাকলেও, গত প্রায় ৬৫ বছরে কোনও মহিলা বিধায়ক পায়নি এই জেলা। ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের হয়ে জমিদার পরিবারের যজ্ঞসেনী দেবী তফশিলি উপজাতি প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন তানাখার থেকে। সেই সময় এই কেন্দ্র ছিল তৎকালীন মধ্যপ্রদেশে। তারপর থেকে আর কোনও মহিলা বিধায়ক হননি।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, জেলায় কংগ্রেস কিংবা বিজেপি কারওই মহিলা নেত্রীরও কোনও অভাব নেই। কিন্তু মনোনয়ন পাননি তাঁরা। কোরবা কেন্দ্রে সঞ্জুদেবী রাজপুত বিজেপির তরফে টিকিটের দাবিদার হলেও, তা পাননি তিনি। কাঠঘোরায় জেলা পঞ্চায়েতের সদস্য মীরা কানোয়ার এবং প্রাক্তন জেলা পঞ্চায়েত সদস্য রিনা অজয় জয়সওয়াল টিকিটের দাবিদার ছিলেন। কিন্তু তাঁদের নাম নিয়েই আলোচনা হয়নি বলে সূত্রের খবর। টিকিট দেওয়া হয়েছে পুরুষপ্রার্থীদেরই।
২০১৩-র নির্বাচনে বিজেপি এবং কংগ্রেস কোরবা থেকে দুটি করে আসনে জিতেছিল। এই আসনগুলিতে দ্বিতীয় দফায় অর্থাৎ ২০ নভেম্বর নির্বাচন হবে। দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনে মনোনয়ন জমা শেষ দিন ছিল ২ নভেম্বর।