প্রেমিকার কাঁচাহাতে স্টিয়ারিং, তাণ্ডবের নেপথ্যে সিন্ডিকেট, পণ্ডিতিয়া-কাণ্ডে পুলিশি অনুমান
কলকাতা, ২০ সেপ্টেম্বর: এখনও অধরা পণ্ডিতিয়া প্লেসের দুর্ঘটনায় ঘাতক মার্সিডিজের গাড়ির চালক ও মালিক। তাদের চিহ্নিত করলেও, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারনি পুলিশ। অভিযুক্তরা ঘটনার পর থেকেই পলাতক। কিন্তু কী করে ঘটল এই দুর্ঘটনা। কেনই বা ওই মার্সিডিজ ধাক্কা মারল স্কুটিতে? প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, গাড়িটি চালানো হচ্ছিল কাঁচা হাতে। সেই কারণেই ঘটে গিয়েছে ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। [দুর্ঘটনায় উত্তপ্ত পণ্ডিতিয়া প্লেস, ভাঙচুর কাণ্ডে ধৃত ৮, অধরা মার্সিডিজ চালক]
পুলিশ জানতে পেরেছে, গাড়িটি একটা সংস্থার নামে নেওয়া হয়েছিল। ওই সংস্থার মালিক অরুণ মাহেশ্বরী ওই গাড়িতেই ছিলেন। কিন্তু গাড়ি ড্রাইভিং করছিলেন তাঁর প্রেমিকা। প্রেমিকার কাঁচা হাতে গাড়ির স্টিয়ারিং ছেড়েই এই বিপত্তি ঘটেছে বলে তদন্তকারীদের ধারণা।
উল্লেখ্য, সেদিন হাজরা রোড ধরে গাড়িটি বেপরোয়া গতিতে চালানো হচ্ছিল। সামনে তিন যুবক স্কুটি ঠেলে যাচ্ছিলেন। কারণ স্কুটির তেল ফুরিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কোনও কিছু বোঝার আগেই মার্সিডিজটি সজোরে ধাক্কা মারে তিনজনকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় একজনের। অন্য দু'জন গুরুতর জখম হন।
তারপর স্থানীয় আবাসনে তাণ্ডব চালায় এলাকাবাসী। ৭৮টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় লেক থানার পুলিশ তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে। এই তাণ্ডবের পিছনেই বা কী কারণ? কারা রয়েছে এর নেপথ্যে? তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে দুর্ঘটনার অজুহাতে পুরনো কোনও আক্রোশই আছড়ে পড়েছে আবাসনে? পুলিশ সূত্রে খবর, আবাসনে হামলার নেপথ্যে থাকতে পারে সিন্ডিকেট-যোগ!
পণ্ডিতিয়া রোডের এই আবাসনের পাশেই তৈরি হচ্ছে আরও একটি টাওয়ার। সেই টাওয়ারের নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহ নিয়ে স্থানীয় যুবকদের সঙ্গে কয়েকদিন আগে বিবাদ বাধে প্রোমোটারের। সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে সেদিন। এই ঘটনার তদন্তের গতিপ্রকৃতি জানতে গড়িয়া হাট থানা ও লেক থানায় যান পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। ঘাতক গাড়িটির চালক ও মালিককে শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান।