হিন্দুত্বের হাওয়ায় ভাসছে কলকাতা, কিন্তু তা কাজে লাগানোর পরিস্থিতি নেই : সুব্রমনিয়ন স্বামী
বাংলা কোনওকালেই বিজেপির শক্তঘাটি নয়। বিধানসভা ভোট হোক বা লোকসভার কোনওবারেই সেভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বিজেপি। কিন্তু এবারের চিত্রটা বদলাতে পারত। বাংলায় কংগ্রেস তেমন জোরদার নয়, সিপিএমের শক্তি এখন তলানিতে। এই সুযোগে মোদী হাওয়ায় ভর করে বাংলায় আসন বাড়ানোর আশায় বিজেপি। কিন্তু মজবুত সংগঠনের অভাবে এবার হয়তো ব্যাপক কোনও সাড়া পেতে বেগ পেতে হবে এমনটাই মনে করছেন বিজেপির প্রবীন নেতা সুব্রমনিয়াম স্বামী।
বাংলায় রাহুল সিনহা থাকলেও তার পক্ষে একা যে কিছু করা সম্ভব না তা বেশ ভালই বুঝেছে বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু হাতে কম সময়ে। ফলে এবারের নির্বাচনেও বাংলায় বিজেপি চমকপ্রদ কিছু করতে পারবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েই গিয়েছে।
২০০৯ সালে বাংলায় একটি আসন জিতেছিল বিজেপি। দার্জিলিংয়ে মোর্চার সমর্থন মেলায় বিজেপির বরিষ্ঠ নেতা যশবন্ত সিং জিতেছিলেন এই আসন থেকে। ২০১১ বিধানসভা নির্বাচনে চোখে পড়ার মতো কোনও ফল করতে পারেনি বিজেপি। অথচ তার পরেও বাংলায় বিজেপির সংগঠনকে জোরদার করতে তেমন কোনও উদ্যোগও দেখা যায়নি শীর্ষ নেতৃত্বের।
তবে কলকাতায় মোদীর জনসভাই বলে দিয়েছে, বাংলার মানুষও মোদী হাওয়ার ভর করতে চাইছেন। কিন্তু সেই হিন্দুত্ব হাওয়াকে বুনতে অসমর্থ বিজেপি। কারণ মজবুত সংগঠনের অভাব। এমনটাই মনে করছেন স্বামী।
এবারে মোদী হাওয়া তো একটা বড় ফ্যাক্টর বটেই। তবে, বেশ কিছু সংখ্যক তারকাপ্রার্থীকে বাংলায় দাঁড় করিয়ে কিছুটা লাভ পেতে চাইছে বিজেপি। ডিস্কো কিং বাপ্পি লাহিড়ি, জাদুসম্রাট পি সি সরকার, গায়ক বাবুল সুপ্রিয়, অভিনেতা নিমু ভৌমিক, জর্জ বেকার, জয় বন্দ্যোপাধ্য়ায় প্রমুখ বিশিষ্ট তারকাকে প্রার্থী করেছে বিজেপি।
বিজেপির দলীয় সূত্রও মনে করছে, বাংলায় মোদী হাওয়ার রেশ থাকলেও বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি কমজোর হওয়ায় বেশি সংখ্যক আসন জেতার ক্ষেত্রে তা অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে।