অযোধ্যা মামলা নিয়ে এই দশটি বিষয় অবশ্যই জেনে রাখুন
অযোধ্যা মামলা নিয়ে দশটি বিষয় জেনে রাখুন
অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলার রায় শনিবার ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে এই মামলার রায় সামনে এল। মুখ্য বিচারপতি রঞ্জন গগৌ সহ পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ সর্বসম্মতিতে এই মামলার রায়দান করেন। রঞ্জন গগৌ এই মামলার রায় রাম জন্মভূমির পক্ষেই দেন। তিনি জানান, বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির গড়ে তোলা হবে এবং মুসলিমরা বিকল্প হিসাবে পাঁচ একর জমি পাবে, মসজিদ গড়ে তোলার জন্য।
৪০ দিন ধরে চলা অযোধ্যা মামলার শুনানির ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা হল শনিবার। এই রায়ের জন্যই দেশবাসী বহুদিন ধরেই অপেক্ষা করছিল। অযোধ্যা মামলার রায় ঘিরে গোটা উত্তরপ্রদেশ জুড়ে ছিল নিরাপত্তা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। বিশেষ নিরাপত্তার মোড়কে মুড়ে ফেলা হয়েছে অযোধ্যাকে। একঝলকে দেখে নেওয়া যাক অযোধ্যা মামলার রায়।
কে পেল বিতর্কিত জমিটি
অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি পেলেন ভগবান রাম লল্লা। যিনি ভগবান রামের শিশু অবতার।
হিন্দুদের পাশাপাশি মুসলিমরাও পেল বিচার
হিন্দুদের পক্ষে রায় গেলেও, খালি হাতে ফিরলেন না মুসলিমরাও। সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ সরকার মুসলিমদের বিকল্প ৫ একর জমি দেবে। যেখানে গড়ে উঠবে মসজিদ।
নির্মোহী আখাড়ার ঝুলিতে কি এল
এই মামলার তৃতীয় মামলাকারী হল নির্মোহী আখড়া। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে, তাদের ট্রাস্ট গড়ে তোলার জন্য কিছু সাহায্য করবে কেন্দ্র।
নির্মোহী আখড়ার দাবি
সুপ্রিম কোর্টের কাছে নির্মোহী আখড়ার আবেদন ছিল যে তারা গোটা বিতর্কিত জমিটিই নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, কারণ তারাই জমিটির তত্ত্বাবধায়কে ছিল। যদিও তাদেব দাবি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।
রাম মন্দির নিয়ে কমিটি গঠন
কেন্দ্র সরকারকে সুপ্রিম কোর্ট তিনমাসের মধ্যে ট্রাস্ট গঠন করতে বলেছে, যাতে এই ট্রাস্টের আওতায় রাম মন্দিরের নির্মাণ হয় যথাযথভাবে। অযোধ্যার এই বিতর্কিত জমিতেই ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।
বিতর্কিত জমিতে কি পাওয়া গিয়েছিল
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, বিতর্কিত জমির নীচ থেকে ভারতের প্রত্নতত্ত্ববিভাগের খননের ফলে যে সব জিনিসপত্র পাওয়া গিয়েছে, তাতে স্পষ্ট, সেগুলি ইসলামিক কাঠামো নয়। কিন্তু প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এটা প্রমাণ করতে পারেনি যে এখানে আগে মন্দির ছিল এবং তা ধ্বংস করে মসজিদ তৈরি করা হয়েছে।
হিন্দু–মুসলিম উভয় ধর্মকেই মান্যতা
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, হিন্দুদের বিশ্বাস বিতর্কিত জমিটি রাম জন্মভূমি, অন্যদিকে মুসলিমরাও বাবরি মসজিদ নিয়ে একই কথা বলে।
হিন্দুদের বিশ্বাস
সুপ্রিম কোর্ট জানায়, বিতর্কিত জমিতে যেখানে বাবরি মসজিদ ছিল হিন্দুদের বিশ্বাস ওই জমিতেই ভগবান রাম জন্মেছিলেন।
বাবরি মসজিদ ধ্বংস
তবে সুপ্রিম কোর্ট এও জানিয়েছেন যে ১৯৯২ সালে ১৬ দশকের বাবরি মসজিদ ভাঙচুর করে আসলে আইন ভাঙাই হয়েছে।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
রায় পড়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট জানায়, উত্তরপ্রদেশের সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড তাদের দাবিকে প্রমাণ করতে পারেনি এবং হিন্দুরা প্রমাণ করে দেখিয়েছে যে ওই বিতর্কিত জমি আসলে তাদেরই এবং ওখানেই রামমন্দির গড়ে তোলা হবে।
কোন পথে শেষ হল কয়েক দশকের অযোধ্যা মামলা?
অযোধ্যা মামলার রায় কারও জয় কারও পরাজয় নয়! প্রতিক্রিয়ায় কী জানালেন মোদী