কোথায় গিয়ে ধাক্কা খেতে পারেন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি পদপ্রার্থী রঘুবর দাস
কোথায় গিয়ে ধাক্কা খেতে পারেন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি পদপ্রার্থী রঘুবর দাস
এনআরসি, সিএএ নিয়ে যখন তোলপাড় দেশের রাজ্য রাজনীতি, বিরোধীদের একের পর একের খোঁচায় বিদ্ধ শাসক বিজেপি সরকার, ঠিক সেই সময়েই ঝাড়খণ্ডে ৩০ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮১টি আসনে ৫ দফায় হয়ে গেছে বিধানসভা নির্বাচন। এক্সিট পোল বলছে ঝাড়খণ্ড হাতছাড়া হতে চলেছে বিজেপির। এক্সিট পোলের সব হিসাব ওলটপালট করে দিয়ে স্বমহিমায় কি আবার ঝাড়খণ্ডে ফিরে আসতে চলেছে বিজেপি নাকি জিততে চলেছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেস জোট ? উত্তর মিলবে আগামী ২৩সে ডিসেম্বর।
ঝাড়খণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের না হওয়ায় প্রভাব পড়তে পারে ভোটের ফলাফলে
তবে বিশেষজ্ঞেরা অবশ্য মনে করছেন যে বিজেপি যদি ঝাড়খণ্ডে গদি হারায়, তার অন্যতম কারণ হতে পারে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী রাঘুবীর দাস। কারণ যে রাজ্যে তফসিলি উপজাতির সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের সংখ্যা বেশি, সেখানে বিজেপি অন্য সম্প্রদায়ের একজনকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে হয়তো অনেকটাই ব্যাক ফুটে চলে গেলো। রঘুবর হবু মুখ্যমন্ত্রী হবে কিনা তা ঝাড়খণ্ডের জনতাই ঠিক করে দেবে ।
বিজেপির রঘুবর অন্য সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়ায় সেটিকে প্রচারের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে বিরোধীরা
বিরোধী দল গুলি অবশ্য এটাকে এক মোক্ষম প্রচারের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে গেছে। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বিদায়ী বিধায়ক চামরা লিন্ডা মনে করছেন যে বিহার ভেঙে ঝাড়খণ্ড তৈরির অন্যতম কারণই ছিল তফসিলি উপজাতি। আর মুখ্যমন্ত্রী সেই সম্প্রদায়েরই হওয়া উচিত বলেও মনে করছেন তিনি। ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস সভাপতি রামেশ্বর ওঁরাও এক নির্বাচনী প্রচারে বলেছিলেন যে রঘুবর দাস যেহেতু ঝাড়খণ্ডের ভূমিপুত্র না, তাই ঝাড়খন্ডবাসীর ওকে মুখ্যমন্ত্রী করা উচিত না।
ঝাড়খণ্ডের আগের সব মুখ্যমন্ত্রীই তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের
২০০০ সালে বিহার ভেঙে ঝাড়খণ্ড তৈরির পর থেকেই রাজ্যটিতে তফসিলি উপজাতির রাজনৈতিক নেতাদের সংখ্যাই বেশি। এমনকি ৮১টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ২৮ টি এই সম্প্রদায়ের জন্য বরাদ্দ। ২০০০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত রাজ্যের মোট পাঁচজন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে প্রত্যেকেই তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত।
২০০০ সালে বিহার ভেঙে ঝাড়খণ্ড তৈরির পর থেকেই রাজ্যটিতে তফসিলি উপজাতির রাজনৈতিক নেতাদের সংখ্যাই বেশি। এমনকি ৮১টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ২৮ টি এই সম্প্রদায়ের জন্য বরাদ্দ। ২০০০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত রাজ্যের মোট পাঁচজন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে প্রত্যেকেই তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত।
বিজেপির পরিচালিত এনডিএ জোট সংখ্যাগরিষ্ঠ নিয়ে এখন কেন্দ্রে। ক্ষমতায় আসার পরে মহারাষ্ট্রে এবং হরিয়ানায় হয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। হরিয়ানাতে সরকার গঠন করলেও ব্যর্থ হয়েছে মহারাষ্ট্রে। হরিয়ানাতে জাঠ সম্প্রদায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় এতদিন ধরে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে এসেছে সেই সম্প্রদায়েরজ কেও। কিন্তু বর্তমান বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী খাট্টার একজন পাঞ্জাবি। একই ভাবে মহারাষ্ট্রে দলিতদের আধিক্য থাকলেও বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ফরণবিশ একজন ব্রাহ্মন।