আজ জওহরলাল নেহেরুর ১৩০ তম জন্মবার্ষিকী, কেন তাঁর জন্মদিনেই শিশু দিবস উদযাপন করা হয় জেনে নিন
আজ জহরলাল নেহেরুর ১৩০ তম জন্মবার্ষিকী, কেন তাঁর জন্মদিনেই শিশু দিবস উদযাপন করা হয় জেনে নিন
স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু ১৪ই নভেম্বর ১৮৮৯ সালে এলাহাবাদে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর আইনজীবী পিতা মতিলাল নেহেরু ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। ১৯১০ সালে জওহরলাল নেহেরুও কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজ প্রাকৃতিক বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক হওয়ার পর ১৯১২ সালে ভারতে ফিরে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আইনজীবী হিসাবে অনুশীলন শুরু করেন।
তার মায়াময় ব্যক্তিত্ব এবং সৌজন্যতার কারণে ছোট বাচ্চাদের মধ্যে শুরু থেকেই তিনি খুব জনপ্রিয় ছিলেন। তাঁর বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাবের জন্য বাচ্চারা সহজেই তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হত। পরবর্তীকালে তার জন্মদিনেই ভারত শিশু দিবস উদযাপন কার হয়।
অন্যদিকে অনেকেরই ধারণা ইংরেজ শাসক জেনারেল ডায়ারের জালিয়ানওয়ালাবাগে নৃশংস গণহত্যার তিনি আর নিজেকে সংযত রাখতে পারেননি, স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন বুকে নিয়ে সরাসরি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে। ওই সময় পণ্ডিত নেহেরুকে ৯ বার জেলবন্দিও করে ব্রিটিশরা। তার গোটা জীবনের মোট ৩,২৫৯ দিন অন্ধকার কারাগারের পিছনেই জেল বন্দি হিসাবে কেটেছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের তিনি প্রায় নয় বছর কারারুদ্ধ থাকেন। জেলবন্দী থাকাকালীন 'টুয়ার্ডস ফ্রিডম’ নামে তিনি একটি আত্মজীবনীও লিখেছিলেন।
আগাগোড়াই তিনি ভারতকে 'ধর্মনিরপেক্ষ জাতি’ হিসাবে দেখতে চেয়েছিলেন। স্বাধীনতা লাভের পর তিনি ভারতীয় সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদটি রচনা করেন। যার মাধ্যমে তিনি ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞাগুলি নির্মূল করে সমস্ত ভেদাভেদ সরিয়ে ভারতকে সংযুক্ত জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন।
১৯৬৪ সালের ২রা মে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান তিনি। প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ অশ্রুজলে বিদায় দেন এই মহান বিপ্লবী তথা কংগ্রেসের এই প্রবাদপ্রতিম রাজনীতিবিদকে। পরবর্তী কালে তাঁর কন্যা ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হন।
দেশজুড়ে মহা সমারোহে পালিত হচ্ছে শিশু দিবস