বাংলার আকাশে ফুঁসছে আম্ফান, ঘূর্ণিঝড়ে মাঝে আটকে পড়লে কি করবেন জেনে নিন
বাংলার আকাশে ফুঁসছে আম্ফান, ঘূর্ণিঝড়ে মাঝে আটকে পড়লে কি করবেন জেনে নিন
ইতিমধ্যেই বাংলায় বুকে থাবা বসিয়েছে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। প্রায় ১৬০ কিলোমিটারেরও বেশি বেগে ওড়িশা উপকূল হয়ে দিঘা দিয়ে দক্ষিনবঙ্গে প্রবেশ করেছে এই সুপার সাইক্লোন। আর বিকেল গড়াতে না গড়াতেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে আম্ফানের তাণ্ডবলীলা।
বড়সড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে কলকাতা
ইতিমকধ্যেই ভিন্ন জেলায় ভেঙে পড়েছে গাছ, ঘরবাড়ি। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে রাজ্যের একটা বিস্তৃন এলাকা। এটি মধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আপদকালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধার কাজে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। কলকাতাতেও একাধিক জায়গায় ভেঙে পড়েছে গাছ, ইলেক্ট্রিকের তার। যতীনদাস পার্ক, গড়িয়াহাট, পূর্ণদাস রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, ট্যাংরা, সল্টলেকের সিডিও ব্লক ও বেহালা, নিউ আলিপুর, খিদিরপুর, সহ একাধিক এলাকা গাছ ভেঙে পড়ার ফলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
ভিডিও বার্তায় সতর্ক বার্তা এনডিআরএফ-র
এদিকে এই সুপার সাইক্লোনের কবলে পড়ে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বারবার সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে দেখা গেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বা এনডিআরএফ-কে। টুইটারে একটি ভিডিও বার্তায়
যতদূর সম্ভব মানুষকে ঘর থেকে কম বেরোতে অনুরোধ করা হয়েছে। যদি একান্তই বাড়ি থেকে বাইরে বেরোতে হয়, তাহলে আবহাওয়া খারাপ হলে নিকটস্থ পাকা বাড়িতে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।
প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে রাখুন
পাশাপাশি বাড়িতেই সব প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মজুত রাখতেও বলা হচ্ছে বারবার। টর্চ, দড়ি, ওষুধ এবং খাওয়ার জল সঙ্গে রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। বেশ কয়েকদিন সমস্ত ধরনের পরিষেবা ব্যাহত হলে আপদকালীন ব্যবস্থা হিসাবে বিকল্প আলোর ব্যবস্থা কলরি রাখতে বলা হচ্ছে।
উড়ালপুল বা গাছের নিচে দাঁড়াবেন না
ঝড় চলাকালীন কোনও গাড়ি না চালানোই শ্রেয়। একান্তই গাড়ি চালালেও কোনও উড়ালপুল বা সেতুর কাছে দাঁড়াতে নিষেধ ককরা হচ্ছে। পাশাপাশি আবহাওয়া খারাপ হতে দেখলে কোনও গাছ, বিদ্যুতের স্তম্ভের কাছাকাছি দাঁড়াতেও বারন করছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর।
কলকাতায় ঢুকল আম্ফান, তীব্র তাণ্ডবে প্রাণ ভয়ে ছুটছেন বাসিন্দারা, ১৩০-১৪০ কিলোমিটার বেগে বইছে ঝড়