কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২০ : অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের কাছ থেকে সাধারণ মানুষ প্রধানত কী কী আশা রাখছেন?
আসন্ন বাজেটে অর্থমন্ত্রীর থেকে সাধারণ মানুষ প্রধানত কি কি আশা রাখছেন জেনে নিন
১লা ফেব্রুয়ারি সংসদে পেশ হতে চলেছে চলতি আর্থিক বছরের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় বাজেট। কৃষক না শিল্পপতি, ধনী ব্যবসায়ী নাকি মধ্যবিত্ত কার দিকে থাকবে পাল্লা ভারী তার উত্তর পাওয়া যাবে ওই দিনই। দেশ জোড়া অর্থনৈতিক মন্দা থেকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মোড় কীভাবে ঘুরতে পারে তা জানতে অধীর আগ্রহে দিন গুনছেন দেশের সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন কি ভাবে সকলকে খুশি করতে পারেন সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ।
অটোমোবাইল সেক্টরে মন্দার সমাধানে উদ্যোগী হতে হবে সরকারকে
বিপুল আর্থিক মন্দার মধ্যে দাঁড়িয়ে এ বার বাজেট পেশ করতে চলেছেন নির্মলা। পাশাপাশি এ দিকে, দেশকে ২০২৪ সালের মধ্যে ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশ হিসেবে তুলে ধরতেও বদ্ধপরিকর কেন্দ্র। সে লক্ষ্যে বাজেটে কোনও ছাপ পড়বে কি না, তা জানতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে সাধারণ মানুষ।
বর্তমানে বিক্রয়ের ক্ষেত্রে দেশের অটোমোবাইল শিল্প ২০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি গত দুই বছরে কোনও নতুন গাড়ি কেনার খরচ ১২ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এই ক্ষেত্রে শিল্প বিশেষজ্ঞদের সাথে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা করে আসন্ন বাজেটের মাধ্যমে এর প্রতিকারের চেষ্টা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আয়কর সংস্কারই অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত
দেশের অর্থনৈতিক মন্দার বাজারে সম্প্রতি ব্যক্তিগত আয়কর কমানোর দিকে ইঙ্গিত করতে দেখা গেছে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে। শুধুমাত্র তাই নয় দেশবাসীর ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে রাষ্ট্রয়াত্ব ব্যাংক গুলিকে গত দুমাসে প্রায় ৫ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান নির্মলা।
এদিকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে সরকারের কর্পোরেট কর ছাড়ের পর বর্তমানে বেতনভোগী মধ্যবিত্তরা এখন তাদের আয় করের ক্ষেত্রেও আরও ছাড়ের প্রত্যাশা করছেন। আয়কর আইনের ৮০সি ধারা অনুযায়ী ২.৫ লক্ষ পর্যন্ত লগ্নির সুযোগের প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বাজেটে।
প্রসঙ্গত, আয়কর আইনের ৮০সি ধারা অনুযায়ী, বেশ কিছু প্রকল্পে বছরে মোট ১.৫ লক্ষ পর্যন্ত লগ্নি করা যায়। ওই লগ্নি করা টাকার অঙ্ক বাদ যায় মোট আয় থেকে। অর্থাৎ, ওই পরিমাণ আয়ের উপর কোনও কর ধার্য হয় না। সূত্রের খবর, সরকার এই ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমার ক্ষেত্রে আয় করের হার ৩০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশে কমিয়ে আনতে পারে। পাশাপাশি নিম্ন আয়ের সীমা ১০ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ২০ লক্ষ করাও যেতে পারে।
বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে নজর
দেশ জুড়ে আর্থিক মন্দার প্রভাব অন্যান্য ক্ষেত্র গুলির পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও স্বাভাবিক ভাবেই পড়ছে তা বলাই বাহুল্য। শিল্প ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিদফতরের বা ডিপিআইআইটি-র তথ্য অনুসারে, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মন্দার কারণে দেশে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ সেই অর্থে প্রভাবিত হয়নি। সেখানে আরও বলা হয়েছে এখনও অনেকগুলি সেক্টর রয়েছে যা এফডিআই-র পরিমাণ যথেষ্ট ভালো। পাশাপাশি আরও বেশি বিদেশী বিনিয়োগ টানতে সরকার বীমা খাতে এফডিআইয়ের বাড়ানোর দিকে নজর দিতে পারে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
কৃষি প্রকল্পগুলিতে বরাদ্দ বৃদ্ধি
সূত্রের খবর, আসন্ন কেন্দ্রীয় বাজেটে ২০২০-২১ সালে গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে এবং বিশেষত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের আয় বাড়াতে প্রায় ১৫% তহবিল বরাদ্দ করতে পারে কেন্দ্র। পাশাপাশি তীব্র অর্থনৈতিক মন্দা, কৃষি সংকটের মাঝে নতুন বাজেটে মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি স্কিমের (এমএনআরইআরজিএস) বরাদ্দ বাড়ানোরও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২০: সুখবর আসতে পারে চাকুরিজীবীদের জন্য! কোন তথ্য উঠে আসছে