লকডাউনের কমছে পরিবেশ দূষণ, কিন্তু আগামীতে এর প্রভাব কতটা থাকবে জানেন কি
গত কয়েক সপ্তাহ জুড়ে লকডাউনের আওতায় গ্রীন হাউস গ্যাসের নির্গমন কমার দরুণ দূষণমাত্রা কমলেও তা যে ভবিষ্যতে খুব একটা উপকারে আসবে না, তা স্পষ্টতই জানিয়ে দিলেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।

ভারতবর্ষ জুড়ে কমেছে দূষণমাত্রা
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক পরিষদের একটি রিপোর্টে জানা গেছে, 'জনতা কার্ফু'-এর জেরে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়, ফলে ২১শে মার্চের তুলনায় ২২-২৩শে মার্চে বাতাসে নাইট্রোজেন-অক্সাইড ও কার্বন-ডাই-অক্সাইডের নিঃসরণ কমেছে যথাক্রমে প্রায় ৫১% ও ৩২%।

দূষণ কমার বিষয়ে আধিকারিকদের বক্তব্য
গ্রীনপিস ইন্ডিয়ার জলবায়ু ও শক্তি সংক্রান্ত আধিকারিক অবিনাশ চাঞ্চল জানিয়েছেন, "কারখানা ও গাড়ি চলাচল বন্ধ হওয়ায় জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমেছে। ফলে গ্রীনহাউস গ্যাসের নিঃসরণের ফলে দূষণ কমেছে ও নীল আকাশ দেখা যাচ্ছে। যদিও এই দূষণ কমার প্রভাব পরিবেশে নগণ্য এবং লকডাউনের পরে দূষণসূচক পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরবে।" ইন্ডিয়ান অটো এলপিজি কোলিশনের অধিকর্তা সুয়াস গুপ্তা ও আইআইটি ভুবনেশ্বরের সহ-অধ্যাপক ভি. ভিনোজ উক্ত বিষয়ে প্রায় একইরকম মত পোষণ করেছেন বলে জানা যায়।

কমছে দূষণ, কি বলছেন পরিবেশবিজ্ঞানীরা?
অন্যদিকে পরিবেশবিজ্ঞানী আরতি খোসলার মতে, "বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থনীতি থমকে দাঁড়িয়েছে এবং এই অবস্থাতেই অন্যান্য দেশের থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি রপ্তানি কমিয়ে তড়িৎশক্তির উপর জোর দেওয়া উচিত।"

বর্তমান পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত বলে মত পরিবেশবিদদের
২২শে মার্চ প্রধানমন্ত্রী জনতা কার্ফু জারি করেন ও ২৪শে মার্চ থেকে টানা ২১ দিনের লকডাউন জারি হওয়ার পর থেকেই দূষণ কমেছে। যদিও পরিবেশবিদদের মতে, সরকারের এই লকডাউন থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত যাতে অবিলম্বে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে পুনর্নবিকরণ শক্তির প্রয়োগ বাড়ানো যায় কারণ, কোভিড-১৯-এর মতো পরিবেশ দূষণও সারা বিশ্বের কাছে বিপদ ডেকে আনতে পারে।

ভিলওয়াড়ার পর করোনা ভাইরাসের নতুন হটস্পট রামগঞ্জ, ১০০ জন সংক্রমিত