যক্ষ্মা, পোলিও-র ভ্যাকসিনে সারছে করোনা ? জানুন কী বলছে গবেষণা
যক্ষ্মা, পোলিও-র ভ্যাকসিনে সারছে করোনা ? জানুন কী বলছে গবেষণা
করোনায় জর্জরিত গোটা বিশ্ব। প্রতিনিয়ত প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেষ্টা চালৱিে যাচ্ছেন একাধিক দেশের নামকরা বিজ্ঞানীরা। আর এরই মাঝে আশার আলো দেখাচ্ছে যক্ষ্মা, পোলিওর প্রতিষেধক। এইসকল ভ্যাকসিন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ন্যূনতম প্রতিরোধে সক্ষম কিনা তা দেখার জন্য চলছে গবেষণা।
কী সম্ভব করোনা প্রতিরোধ?
এখনও পর্যন্ত বিশ্বের কয়েক কোটি মানুষ পোলিও ও যক্ষ্মার প্রতিষেধক ব্যবহারে উপকৃত হয়েছেন। শরীরের প্রাথমিক রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতাকে আরও একটু শক্তিশালী করে মূলত ভাইরাসকে আটকানোর ব্যবস্থা করে এই দুই ভ্যাকসিন। বিজ্ঞানীদের আশা, নভেল করোনার ক্ষেত্রে আংশিক হলেও কার্যকরী হবে এই ভ্যাকসিন দুটি। মার্কিন মুলুক সহ নেদারল্যান্ডস ও অস্ট্রেলিয়ায় যক্ষ্মার বিসিজি প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগও চালু হয়েছে ইতিমধ্যে।
ট্রায়াল চলছে যক্ষ্মা ও পোলিওর প্রতিষেধকের
টেক্সাসের এ অ্যান্ড এম স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাইক্রোবিয়াল প্যাথোজেনেসিস ও ইমিউনোলজির অধ্যাপক জেফ্রি ডি সিরিলো জানিয়েছেন, "বর্তমানে করোনা মোকাবিলায় প্রয়োগ করা সম্ভব এমন একমাত্র ঝুঁকিবিহীন প্রতিষেধক বিসিজি ভ্যাকসিন।" ভ্যাকসিন মূলত শরীরের রোগ প্রতিরোধক কাঠামোকে কোনো ক্ষতিকারক ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ক্ষমতাকে উন্নত করে। গত কয়েক বছরে সেই সকল ভ্যাকসিন অধিক কার্যকরী হয়েছে যেগুলিতে জীবন্ত ও দুর্বল রোগসৃষ্টিকারী ভাইরাস ব্যবহৃত হয়েছে। এইসকল ভ্যাকসিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি অন্যান্য সংক্রমণ রুখতেও সাহায্য করে।
করোনাকে আটকানো নয়, রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতাকে শক্তিশালী করাই উদ্দেশ্য
গবেষকদলের তরফে জানান হয়েছে, করোনাকে আটকানো নয়, এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করে রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতাকে শক্তিশালী করাই তাদের উদ্দেশ্য। মূলত করোনা প্রতিরোধে যেসকল দেশে যক্ষ্মার ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হয় ও যে সকল দেশে ব্যবহার করা হয়নি, এই দুইরকম দেশের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যার হেরফেরের উপর নির্ভর করে গবেষণা শুরু হয়। ক্রমে প্রকাশ পায়, করোনার দ্বিতীয়বারের আক্রমণের ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন কার্যকরী হতে পারে। গবেষকদের মতে পাকিস্তান এবং অন্যান্য কয়েকটি দেশে করোনা রুখতে বিসিজি ভ্যাকসিনের প্রয়োগের ফলে মৃতের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে।
বিসিজি ভ্যাকসিন প্রয়োগে আদৌ সাফল্য মিলবে কি?
বিসিজি ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলে যেমন মৃত্যুর সংখ্যা কম চোখে পড়েছে, তেমনই ব্রাজিলের মত দেশে বিসিজি ভ্যাকসিন ব্যবহার করা সত্ত্বেও মৃতের সংখ্যায় লাগাম পড়ানো যায়নি। ইজরায়েলেও একই ছবি ধরা পড়েছে বলে আন্তর্জাতিক সূত্রের খবর। গবেষকদের মতে, করোনা গবেষণায় এমন পরস্পরবিরোধী তথ্য উঠে আসার ঘটনা প্রথম নয়। ইজরায়েলে সদ্যোজাতদের বিসিজি ভ্যাকসিন দেওয়ার পদক্ষেপ চালু থাকে ১৯৫৫ থেকে ১৯৮২ পর্যন্ত। ১৯৮২ থেকে দেশে থাকা যক্ষ্মাপ্রবণ অভিবাসীদেরই শুধুমাত্র বিসিজি দেওয়া চালু হয়।
মাস্ক থেকে স্যানিটাইজার সবই পাওয়া যাবে বারাণসীর এই করোনা মলে