গত ৬ বছরে নরেন্দ্র মোদী জামানায় কর ব্যবস্থায় কি কি পরিবর্তন এল, জেনে নিন

১লা ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের হাত ধরে সংসদে পেশ হতে চলেছে চলতি অর্থ বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট। গত কয়েক দিনে অর্থনীতি নিয়ে শিল্পপতি সহ অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে বৈঠক করেছেন অর্থমন্ত্রীও।
দেশ জোড়া অর্থনৈতিক মন্দা থেকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মোড় কীভাবে ঘুরতে পারে তা জানতে অধীর আগ্রহে দিন গুনছেন দেশের সাধারণ মানুষ। সূত্রের খবর, আসন্ন বাজেটেই আয়করের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নতুন সুবিধার দিকে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই কর্পোরেট করের ক্ষেত্রে বেশ কিছু হার ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। এদিকে গত ৬ বছরে প্রায় প্রতিবারই এই ক্ষেত্রে এসেছে বেশ কিছু নতুন পরিবর্তন। পাশাপাশি অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন কি ভাবে সকলকে খুশি করতে পারেন সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ।

২০১৪
২০১৪ সালের বাজেটে আয় কর ছাড়ের সীমা ৫০ হাজার পর্যন্ত বাড়িয়ে ২.৫ লক্ষ টাকা করা হয়। প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ লক্ষ টাকা। সূত্রের খবর, সেই সময় আয়কর আইনের ৮০ সি ধারায় বিনিয়োগে ছাড়ের সীমা বাড়ানো হয়।
প্রসঙ্গত, আয়কর আইনের ৮০সি ধারা অনুযায়ী, বেশ কিছু প্রকল্পে বছরে মোট ১.৫ লক্ষ পর্যন্ত লগ্নি করা যায়। ওই লগ্নি করা টাকার অঙ্ক বাদ যায় মোট আয় থেকে। অর্থাৎ, ওই পরিমাণ আয়ের উপর কোনও কর ধার্য হয় না।

২০১৫
ওই বছর বাজেটে উল্লেখযোগ্য ভাবে সম্পত্তি কর বাতিল করা হয় সরকারি ভাবে। ১ কোটির বেশি বার্ষিক আয়ে করের উপর সারচার্জ বাড়িয়ে করা হয় ১২ শতাংশ। সূত্রের খবর যার পরিমাণ আগে ছিল ১০ শতাংশ।

২০১৬
২০১৬ সালের বাজেটে ১ কোটির বেশি বার্ষিক আয়ে করের উপর সারচার্জ ১২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। পাশাপাশি বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকা আয়ের ক্ষেত্রে কর রেহাই ২ হাজার থেকে বাড়িয়ে করা হয় ৫ হাজার। একই সাথে এই সময় প্রথমবার ২ লক্ষ টাকা বা তার বেশি গৃহঋণ নিয়ে থাকলে সুদের উপর ৫০ হাজার পর্যন্ত অতিরিক্ত ছাড়েরও ঘোষণা করা হয়।

২০১৭
বার্ষিক ৫০ লক্ষ টাকা থেকে ১ কোটি পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে করের উপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ সারচার্জ বসানো হয় এই বছর। আড়াই লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয়ে করের হার ১০শতাংশ কমিয়ে ৫ শতাংশ করে দেওয়া হয়। আয়কর আইনের নতুন ধারা ৮৭ এর আওতায় ২৫০০ পর্যন্ত কর রেহাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সরকারি ভাবে।

২০১৮
আয়করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে ৪ শতাংশ করা হয়। সূত্রের খবর যার পরিমাণ আগে ছিল ৩ শতাংশ। ৪০ হাজারের স্ট্যান্ডার্ড ছাড় ঘোষণা করা হয় এই সময়। একই সঙ্গে বয়স্ক নাগরিকদের ক্ষেত্রে ব্যাংক, পোস্ট অফিস থেকে প্রাপ্ত সুদেও ব্যাপক ছাড়ের ঘোষণা করা হয়।

২০১৯
এদিকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে সরকারের কর্পোরেট কর ছাড়ের পর বর্তমানে বেতনভোগী মধ্যবিত্তরা এখন তাদের আয় করের ক্ষেত্রেও আরও ছাড়ের প্রত্যাশা করছেন।
গত বছর ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করযোগ্য আয়ে আয়কর ছাড়ের ঘোষণা করা হয় সরকারি ভাবে। ৫ থেকে সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কর ছাড়ের ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি টিডিএস ছাড়ের ক্ষেত্রেও পেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয় সরকারি ভাবে।