জিও-মার্টের হাত ধরে এবার হোয়াটসঅ্যাপেই করা যাবে অনলাইন শপিং ! জেনে নিন উপায়
জিও-মার্টের হাত ধরে এবার হোয়াটসঅ্যাপেই করা যাবে অনলাইন শপিং ! জেনে নিন উপায়
টানা লকডাউনের জেরে প্রায় হেলে পড়েছে ভারতীয় অর্থনীতি। এরমধ্যেই গাঁটছড়া বেঁধে ফেলেছে রিলায়েন্স ও ফেসবুক। ভারতীয় মূদ্রায় প্রায় ৪৪ হাজার কোটি টাকায়, রিলায়েন্সের ৯.৯ শতাংশ কিনে ফেলেছে ফেসবুক। এরপরেই এবার গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে রিল্যায়ান্স ইন্ডাস্ট্রিজের জিও মার্ট প্ল্যাটফর্ম এবং ফেসবুক ও তার অধীনস্থ মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। এবার ফেসবুক-রিলায়েন্স চুক্তির পর হোয়াটসঅ্যাপে লাইভ হয় জিও মার্ট।
কী এই জিও মার্ট?
বর্তমানে ভারতের ৪০ কোটি মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। এবার এই বিপুল সংখ্যক মানুষকেই পাখির চোখ করেছে রিলায়েন্স। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার অন্যতম পদক্ষেপ এই জিও-মার্ট। ৮৮৫০০ ০৮০০০ এই নম্বরটিই মোবাইল ফোনে সেভ করতে বলছে জিও। এরপর এই নম্বর থেকে গ্রাহকদের কাছে আসবে একটি লিঙ্ক যার সময়সীমা ৩০ মিনিট। এই সময়ের মধ্যেই লিঙ্কটি ব্যবহার করলে সেখানে একটা নতুন ওয়েবপেজ খুলবে। যেখানে গ্রাহকদের নাম, ঠিকানা এবং ফোন নম্বর নথিভুক্ত করতে হবে। সঙ্গেই বিভিন্ন সামগ্রীর ক্যাটালগ দাম সহ হাজির হবে গ্রাহকদের সামনে। সেখান থেকেই প্রয়োজনীয় সামগ্রী বেছে অর্ডার দিতে হবে।
এখনই চালু হচ্ছেনা হোম ডেলিভারি
প্রাথমিক ভাবে এই পরিষেবা মিলছে মহারাষ্ট্রের নবি মুম্বই, থানে এবং কল্যাণে। কিছু দিনের মধ্যেই গোটা দেশে শুরু হবে এই পরিষেবা। অর্ডার দেওয়া হলে দোকানদারের কাছে পৌঁছে যাবে নির্দেশ। এরপর নির্দিষ্ট সামগ্রী প্রস্তুত হয়ে গেলে ফের গ্রাহকের কাছে মেসেজ আসবে। তারপর সেইখান থেকে গিয়ে সংগ্রহ করতে হবে সামগ্রী। তবে এখনই হোম ডেলিভারি পরিষেবা চালু হচ্ছেনা বলে জানা যাচ্ছে।
ছোটব্যবসায়ীদের অনলাইনে রোজগারের নতুন রাস্তা খুলে দিল জিও-মার্ট?
লকডাউনে ছোট ব্যবসায়ী, মুদীর দোকানদাররাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ। জিওমার্ট ও হোয়াটসঅ্যাপ এক হয়ে এই ছোট ব্যবসায়ীদের রোজগারের নতুন রাস্তা খুলে দেওয়ার জন্যই এই প্রকল্প বলে জানান জিও কর্ণধার মুকেশ আম্বানি।দেশের একটা বড় অংশই মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করায় জিওমার্ট এইসব ছোট স্টোরগুলিকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে জুড়ে দেবে। জিনিসপত্র অর্ডার করতে হলে হোয়াটসঅ্যাপেই করা যাবে। পেমেন্টও করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপেই। ইতিমধ্যেই এই খবরে উচ্ছ্বসিত নেটিজেনমহল।
করদাতাদের দিতে হবে আয়ের ১৮ শতাংশ, ভিত্তিহীন খবর জানালো সরকার