নতুন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাকে দলের কোন সমস্যাগুলির মোকাবিলা করতে হবে জেনে নিন
নতুন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাকে সর্বাধিক কোন সমস্যা গুলির মোকাবিলা করতে হবে জেনে নিন
সম্প্রতি
বিজেপির
সর্বভারতীয়
সভাপতি
পদে
আসীন
হয়েছেন
জগৎ
প্রকাশ
নাড্ডা।
বিনা
প্রতিদ্বন্দ্বিতায়
সোমবার
সর্বভারতীয়
সভাপতি
নির্বাচিত
হন
তিনি।
এদিন
বিজেপির
সদর
দপ্তরে
জেপি
নাড্ডাকে
শুভেচ্ছা
জানান
প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র
মোদী,
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তথা
প্রাক্তন
সর্বভারতীয়
সভাপতি
অমিত
শাহ।
বিজেপি
সূত্রে
খবর,
২০২৩
সাল
পর্যন্ত
সর্বভারতীয়
সভাপতি
থাকবেন
জেপি
নাড্ডা।
নতুন
দায়িত্ব
গ্রহণ
করলেও
আগামীতে
তাকে
কোন
কোন
সমস্যা
গুলির
সর্বাধিক
মোকাবিলা
করতে
হবে
আসুন
তা
এক
নজরে
দেখে
নিই।
দলের রিমোর্ট কন্ট্রোল কী মোদী-শাহের হাতেই ?
বিজেপির নতুন সভাপতি নির্বাচনের পরই বিরোধীরা কটাক্ষের সুরে বলতে শুরু করেছেন নাড্ডা সভাপতি হলেও দলের ‘রিমোর্ট কন্ট্রোল' মোদী-শাহের হাতেই থাকবে। অন্যদিকে দলের প্রধান হওয়ার আগে বিভিন্ন স্তরে দায়িত্ব সামলেছেন জেপি নাড্ডা। ছাত্র অবস্থায় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সদস্যও ছিলেন তিনি। এদিকে প্রায় সাত মাস আগে বিজেপির কার্যকরী সভাপতির পদে বসেন নাড্ডা। শেষ পর্যন্ত সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে অমিত শাহের উত্তরসূরি হিসাবে দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি নির্বাচিত হলেন তিনি।
সামনেই ১৪টি রাজ্যে নির্বাচন
২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার বিজেপি ক্ষমতা আসার পর দলের রাশ নাড্ডার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অমিত শাহ। তবে এত দিন খাতায় কলমে অমিত শাহই ছিলেন দলের প্রধান। এবার নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পরই নাড্ডার জন্য অপেক্ষা করছে একের পর এক বড় চ্যালেঞ্জ। এদিকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দলের সর্বভারতীয় সভাপতি থাকতে চলেছেন নাড্ডা।
এই সময়ের মধ্যে প্রায় ১৪ টি রাজ্য রয়েছে বিধানসভা নির্বাচনয় যাবে। যার মধ্যে বর্তমানে বিজেপি ও অন্য দলের সঙ্গে বিজেপির জোট সরকার রয়েছে মাত্র সাতটি রাজ্যে। ওই রাজ্য গুলিতেও দলের সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করবে নাড্ডার উপর।
দলের পুরনো লাইনে বদল
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে একাধিক জায়গায় জোর ধাক্কা খেয়েছিল বিজেপি। পাশাপাশি তার পর একাধিক রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনেও মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। গোবলয়ে বিশেষত রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এমনকি ছত্তিসগড়ের মতো রাজ্য গুলিতেও ক্ষমতা হারিয়েছে বিজেপি।
পাশাপাশি এনআরসি, সিএএ নিয়ে দেশ জুড়ে মানুষের মধ্যে ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে বিজেপি বিদ্বেষ। সামনেই দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গেও বিধানসভা নির্বাচন। যেখানে রয়েছেন কঠিন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মমতা ও কেজরীওয়াল। এই কঠিন অবস্থায় দলের পুরনো রাজনৈতিক লাইন বদলে দলকে পুনরুজ্জীবিত করাই নাড্ডার কাছে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ।
শরিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের সময় বিজেপির অন্যতম শরিক দল শিবেসেনার সঙ্গে দ্বন্দ্ব সাড়া দেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে। একই সাথে শরিকি সমস্যায় বিজেপিকে জেরবার হতে হয়েছে ঝাড়খণ্ড, বিহারের মতো রাজ্যে গুলিতেও। তাই অদূর ভবিষ্যতে এই শরিকি সমস্যার মোকাবিলা করে দলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে রাজনৈতিক সাফল্যের মুখ দেখানোও নাড্ডার কাছে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
২০২০ কেন্দ্রীয় বাজেট: ১ ফেব্রুয়ারির আগে অর্থনীতির কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক একনজরে