প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সম্পর্কে প্রধান চিন্তার বিষয়গুলি জেনে নিন একনজরে
ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গোটা বিশ্বজুড়েই একটা তীব্র আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। মৃতের সংখ্যাও সাড়ে চার হাজার ছাড়িয়েছে। একইসাথে গোটা পৃথিবীতে গোটা আক্রান্তের সংখ্যাও ১ লক্ষের সীমা ছাড়িয়েছে।
চরিত্র পরিবর্তনে সক্ষম করোনা
সবথেকে খারাপ অবস্থা চিন ও ইতালির। এছাড়াও আরও প্রায় ৫০শের বেশি দেশে নিজের থাবা বসিয়েছে করোনা। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন স্থান কাল ও পাত্র ভেদে এই ভাইরাসের চরিত্র ও আক্রমনের রূপরেখাতেও বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
যেভাবে করোনা ভাইরাস ছড়ায়
সম্প্রতি এই বিষয়ে ম্যাকেনসি ও কোম্পানির তরফে একটি বিশদ প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রধান কারণ ও এই সম্পর্কে সাবধানতার বিষয় গুলি তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত হয়েছেন যে, এ ভাইরাসটি একজন মানুষের দেহ থেকে আরেকজন মানুষের দেহে দ্রুত ছড়াতে পারে। করোনা ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায় এবং শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমেই এটি একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে ছড়ায়। তবে অনেক বিশেষজ্ঞরাই জানাচ্ছেন এই ভাইরাস শরীরের বাইরে ১২-২৮ ঘন্টার বেশি বেঁচে থাকতে পারে না।
শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে সহজেই থাবা করোনার
একাধিক ডাক্তারি পরীক্ষায় দেখা গেচে যে সমস্ত ব্যক্তির আগে থেকে শ্বাসকষ্ট জনিত সমলস্য বা হৃদযন্ত্রের সমস্যা আছে তাদের শরীরে সহজে বাসা বাঁধতে পারে করোনা। তাই যাদের ফুসফুস বা হৃদপিণ্ডের সমস্যা আছে তাদের বর্তমানে কোনও রকম সমস্যা দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। একই সাথে ধ্যমপায়ীদের মধ্যে এই ভাইরাসের সর্বাধিক গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়। চিনের ক্ষেত্রেও আমরা একই ছবি দেখেছি।
ছদ্মবেশে সহজেই শরীরে প্রবেশ করে করোনা
ইতিমধ্যেই করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বিভিন্ন দেশের প্রশাসনের তরফে বড় জমায়েত বা সমাবেশ এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হয়েছে। এমনকি আগামী সপ্তাহে হোলি পালন থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন দীর্ঘদিন আপনার শরীরে ছদ্মবেশে থাকতে সক্ষম এই প্রাণঘাতী ভাইরাস। অন্যের হাঁচি, কাশির মাধ্যমে প্রাথমিক ভাবে আপনার শরীরে এই ভাইরাস প্রবেশ করলেও তা দীর্ঘদিন আপনার শরীরের অভ্যন্তরে গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে। ডাক্তারি পরীক্ষা নিরীক্ষাতেও প্রাথমিক ভাবে এর চিহ্ন নাও মিলতে পারে। সম্প্রতি চিনে এরকম একটি ঘটনা সামনে আসে।