জেনে নিন কীভাবে পাকিস্তানের চোখে ধুলো দিয়ে বালাকোটে জঙ্গি নিধন করেছিল ভারত
জেনে নিন কীভাবে পাকিস্তানের চোখে ধূলো দিয়ে বালাকোটে জঙ্গি নিধন করেছিল ভারতজেনে নিন কীভাবে পাকিস্তানের চোখে ধূলো দিয়ে বালাকোটে জঙ্গি নিধন করেছিল ভারত
বালাকোট হামলার আগে যাতে কোনো ভাবেই কোনও খবর বাইরে না বেরিয়ে যায় তাই আগে থেকেই সতর্ক ছিল সরকার। একাধিক ঘটনার মাধ্যমে মিডিয়ার নজরও ঘুরিয়ে রাখা হচ্ছিল। যাতে দূর থেকে দেখে মনে হয় সব কিছু একদম স্বাভাবিক আছে।
পরিকল্পনা মতো হামলার আগের দিন হয় এয়ার মার্শাল কুমারের বিদায়ীনুষ্ঠান
সুতরাং, এয়ার মার্শাল কুমারের জন্য পরিকল্পনা করা একটি বিদায়ীনুষ্ঠানটি নির্ধারিত সময়েই শেষ হয়। ২৫শে ফেব্রুয়ারি দিল্লির অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে তত্কালীন বায়ুসেনা প্রধান ধনোয়া ছাড়াও আরও ৮০ জন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
বাহাওয়ালপুরের জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতরে হামলার আশঙ্কা করা হয়
এই প্রসঙ্গে এয়ার মার্শাল কুমার বলেন, "টিভি চ্যানেল এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর জল্পনা-কল্পনার কারণে পাকিস্তানও অবশেষে বিমান হামলার সম্ভাবনা নিয়ে মনোনিবেশ করতে শুরু করেছিল। সেই সময়, ইচ্ছাকৃতভাবে জল্পনা ছড়িয়েছিল যে বাহাওয়ালপুরের জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতরে হামলা চালাতে পারে ভারত।"
লুকোচুরি খেলা চলে পাক যুদ্ধবিমানের সঙ্গে
এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ভারতীয় যুদ্ধবিমান মীরাজের দল নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর এলে সেই সময় আকাশে থাকা দুটি পাকিস্তানি স্যাব এডাব্লুএসিএস বিমানের সাথে লুকোচুরি খেলা চলে। একই সাথে সেই সময় দুটি পাকিস্তানি বিমান পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়।
অবশেষে পাকিস্তানের চোখে ধূলো দিতে সমর্থ হয় মিরাজের দল
এমতাবস্থায় রাজস্থান সেক্টর থেকে একদল জাগুয়ারকে সীমন্তের দিকে পাঠানো হয় যাতে পাকিস্তানের মনে হয় আগের বিমানগুলি বাহওয়ালপুরের দিকে চলে গেছে। ভারতের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে পাকিস্তানি এডাব্লুএসিএস আরও দ্রুত গতিপথ পরিবর্তন করে। তারপরেই বালকোটে প্রবেশ করে মীরাজরা এবং নিপুন দক্ষতার সাথে তাদের কার্যসিদ্ধি করে ঘরে ফিরে আসে।