ASAT: আগামীর মহাকাশ-যুদ্ধে অস্ত্র কি 'অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল'! ভারতের এই হাতিয়ার সম্পর্কে তথ্য
'মিশন শক্তি' র হাত ধরে এবার মাহাকাশে শক্তি কায়েম করতে আরও একধাপ এগোলো ভারত।
'মিশন শক্তি' র হাত ধরে এবার মাহাকাশে শক্তি কায়েম করতে আরও একধাপ এগোলো ভারত। প্রাসঙ্গিকভাবে উঠে আসছে একটাই প্রশ্ন, আকাশ ছাড়িয়ে আগামীর সমরণীতি কি এবার মহাকাশে পৌঁছবে?মহাকাশে ক্ষমতা ধরে রাখার মধ্যেই কি লুকিয়ে রয়েছে শক্তির আস্ফালন ? আর এদিন ভারতের 'মিশন শক্তি'র হাত ধরেই ফের একবার উস্কে গিয়েছে এই প্রশ্নগুলি। যে ASAT মিসাইলের দ্বারা ভারত এমন সাফল্য পেয়েছে, সেই অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
অ্যান্টি স্যাটেলাইট সম্পর্কে তথ্য
বিশ্বের মধ্যে ভারত চতুর্থ দেশ যারা অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছে। মূলত যে সমস্ত লো অরবিট স্যাটেলাইট পুরনো হয়ে যায় বা কাজে লাগছে না, তাদের ধ্বংস করতেই এই স্যাটেলাইটকে এদিন কাজে লাগানো হয়েছে।
যুদ্ধ ও এ-স্যাট অস্ত্র!
এপর্যন্ত কোনও শক্তিধর দেশ যুদ্ধের জন্য অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল ব্যবহার করেনি।চিন, আমেরিকা , রাশিয়া ভারতের আগে এই মিসাইল ব্যবহার করলেও, প্রত্যেকেই নিজের দেশের লোক অরবিট স্যাটেলাইট ধ্বংসের কাজেই এটি ব্যবহার করেছে।
মহাশূন্যে কি থাকবে ধ্বংসাবশেষ?
ভারত খুই কম উচ্চতার স্যাটেলাইটগুলিকে ধ্বংস করায় তার অবশিষ্টাংশ মহাশূন্যে ভেসে বেড়াবে না বহুকাল। এক সপ্তাহের মধ্যেই তা পৃথিবীপৃষ্ঠে পড়ে যাবে।
এখনই কেন ভারত এই পরীক্ষা করল?
সরকার সূত্রের দাবি, বহুদিন ভারত এই মিশন নিয়ে কাজ করলেও, তার সাফল্যের জন্যঅপেক্ষা করছিল। আর এমন একটা পরিস্থিতিতে মিশন শক্তি এসে পৌঁছেছে যে ASAT উৎক্ষেপণ করতেই তার সাফল্য পাওয়া যাবে। তাই এই সময়টিকেই সাফল্যের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।
মহাকাশের যুদ্ধে ভারত!
সরকারের তরফে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কোনও দেশকে আঘাত করতে এই অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল উৎক্ষেপণ করা হয়নি। তবে অনেকেরই দাবি, এই উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে দেশ মহাকাশ যুদ্ধে সমান দক্ষতা রাখার বার্তা দিয়েছে। দেশের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে এই অস্ত্র গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানিয়েছেন মোদী।