শুধু কারেন্সি নয়, বাজারে রয়েছে ক্রিপ্টো ক্রেডিট কার্ডও
বহুদিন ধরেই বিভিন্ন প্রকারের বিল পেমেন্টের জন্য ক্রেডিট কার্ডকে ভরসা করে সাধারণ মানুষ। ধনী ব্যক্তিরা তো বটেই, সাধারণ মধ্যবিত্তের মানিব্যাগেও ক্রেডিট কার্ড বড়ই সাধারণ এক বস্তু৷ যুগ এগিয়েছে, সময় বদলেছে। এখন ক্রেডিট কার্ডের পর বিভিন্ন সংস্থা ডিজিটাল কারেন্সিও গ্রহণ করে। এবার সেই ডিজিটাল কারেন্সি আদানপ্রদানের জন্যই বাজারে রয়েছে ক্রিপ্টো ক্রেডিট কার্ড।
এই মুহূর্তে বিশ্ব বাজারে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল কারেন্সি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিনিময় মাধ্যম। অবশ্য, শুধু বিনিময়ের ক্ষেত্রে নয়! বহু ব্যক্তি ডিজিটাল কারেন্সিতে বিনিয়োগ করেন। এবার তাদের জন্যই এল ক্রিপ্টো ক্রেডিট কার্ড। সাধারণ ক্রেডিট কার্ডের মতো হলেও বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক এর খুঁটিনাটি।

ক্রিপ্টো ক্রেডিট কার্ড কী?
ক্রিপ্টো কারেন্সির দুনিয়ায় ক্রিপ্টো ক্রেডিট কার্ড থাকলে ব্যবহারকারী ডিজিটাল কারেন্সি বিক্রি করতে পারবেন৷ এর বিনিময়ে যে পুরস্কার পাবেন, তাও মিলবে ক্রিপ্টোকারেন্সিতেই। শুধু তাই নয়, কার্ডদাতার কাছ থেকে ধারে ডিজিটাল কারেন্সি কেনাও যাবে। অবশ্যই পরে তা শোধ করে দিতে হবে সময়মতো। এমনিতে সমস্ত নিয়মকানুন সাধারণ ক্রেডিট কার্ডের মতো হলেও পার্থক্য রয়েছে। ক্রিপ্টো ধার নিলে তা মেটাতে হবে ওই একই ডিজিটাল কারেন্সিতে। অর্থাৎ বিটকয়েন, ইথেরাম সহ নানা কারেন্সি ধারে কিনলে তা টাকার বিনিময়ে শোধ করা যাবে না!

তবে রয়েছে বিশেষ কিছু সুবিধাও!
তবে বাড়তি সুবিধাও রয়েছে। এক্ষেত্রে যেহেতু পুরস্কারও আসবে ক্রিপ্টোতেই। তাই ব্যবহারকারীর অতিরিক্ত লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকছেই।
বিভিন্ন সংস্থার ক্রেডিট কার্ড নানা রূপে ব্যবহারকারীদের পুরস্কার দেয়। একটি জেমিনি কার্ড ব্যবহারকারীকে প্রায় ৩ শতাংশ অবধি ক্রিপ্টো পুরস্কার স্বরূপ দেয়। ব্যবহারকারীর জেমিনি অ্যাকাউন্টে পুরস্কারবাবদ সেই কারেন্সি জমা পড়ে৷ ব্লকফাই ক্রেডিট কার্ড যেমন ১.৫ শতাংশ ডিজিটাল কারেন্সি দেয় পুরস্কারবাবদ। বিটকয়েন, ইথেরাম সহ ১০টির বেশি কারেন্সিতে সেই পুরস্কার মেলে।

সাধারণ ক্রেডিট কার্ডের থেকে কতটা আলাদা ক্রিপ্টো?
সাধারণ ক্রেডিট কার্ডের মতোই এর ক্ষেত্রেও সময়মতো ধারদেনা মিটিয়ে দেওয়া আবশ্যক। তেমনটা না করতে পারলে অতিরিক্ত সুদে কিংবা লেট ফিজ যোগ করে ফেরত দিতে হবে৷ এক্ষেত্রেও কার্ড ব্যবহারের জন্য দিতে হবে বার্ষিক ফিজ।
