চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন অভিযানে নামা বিপ্লবী লালমোহন সেন বেঁচে আছেন ইতিহাসের পাতায়
'কত বিপ্লবী বন্ধু রক্তে রাঙা’ একটি বিখ্যাত দেশাত্মবোধক গানের লাইন। গানের লাইনটি হয়তো ছোট একটি লাইন তবে এর মানে কিন্তু অনেক বড়। এমন অনেক বিপ্লবী আছেন যাদের নাম হয়তো এমন আমাদের অজানা। যাদের রক্তে দেশ স্বাধীন হয়েছে। মহান বিপ্লবীদের মধ্যে একজন হলেন লালমোহন সেন। চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন অভিযানে যুক্ত ছিলেন এই বিপ্লবী। তাঁকে ১৬ বছর কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। কী অসহ্য যন্ত্রণা পেতে হয়েছিল বিপ্লবীকে যা ভাবলে আজও দেহে কাঁটা দিয়ে ওঠে। তবে, এখানেই শেষ নয়। তিনি এক সময় জেল থেকে ছাড়াও পান। সেই সময় নোয়াখালিতে হিন্দুদের গণহত্যা চলচ্ছিল। সেখানে হত্যা করা হয় লালমোহন সেনকে।
কে ছিলেন লালমোহন সেন?
১৯১২ সালের চট্টগ্রামের উপকূলে মুছাপুর গ্রামের নোয়াখালি জেলায় এক বাঙালি হিন্দু কায়স্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এই মহান বিপ্লবী লালমোহন সেন। সে সময় বাংলা কিন্তু অবিভক্ত ছিল। তবে তার জীবন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে বেশি কিছু জানা যায়নি। তবে তিনি মাস্টারদা সূর্য সেনের বিপ্লবী কর্মী ছিলেন। আর সেসময় তিনি চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে অংশগ্রহণ করেছিলেন । ১৯৩০ সালে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সব থেকে বেশি ছিলেন তিনি।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল বিপ্লবীর
১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল লালমোহন সেনকে চট্টগ্রাম-সহ দেশের অন্যান্য অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য রেলপথকে উচ্ছিস্ট করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। লালমোহনের ওপর দেওয়া দায়িত্ব তিনি কিন্তু সফলভাবে করেছিলেন। এই ঘটনার পর তিনি গ্রেপ্তার হন। বিশেষ ট্রাইবুনাল বিচারের তার চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার কারাগারে তাকে পাঠানো হয়। তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সঙ্গে শাস্তি পর্যন্ত দেওয়া হয়।
কীভাবে মৃত্যু হয় বিপ্লবীর
আন্দামান সেলুলার জেল ও অন্যান্য কারাগার ঘুরেছেন প্রায় ১৬ বছর। অবশেষে ১৯৪৬ সালে কারাগার থেকে প্যারোলি মুক্তি পান তিনি। তিনি মুক্তি পাওয়ার পর নিজ বাসস্থান নোয়াখালিতে ফিরে আসেন। সেখানেই তিনি থাকতে শুরু করেন। তবে দুর্ভাগ্যবশত নোয়াখালিতে দাঙ্গার সময় গুন্ডাদের হাতে চুরির আঘাতে তিনি মারা যান।
আজাদি কা অমৃত মহোৎসব
ভারত স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব পালন করছেন সকলে। ভারতবাসী শহীদদের স্মরণ করছে, সম্মান জানাচ্ছেন। তবুও আজ অনেক ভারতবাসীর কাছে এই মহান বিপ্লবীর নাম হয়তো অনেকেরই আজানা। তার পরিচয় সম্পর্কে অনেকেই অবগত নন।
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশে প্রথম ভাষণ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর! একনজরে ১০ উদ্ধৃতি