কীভাবে, কত খরচে করোনা শনাক্ত করবে ফেলুদা? জানুন নয়া কোভিড টেস্ট কিটের বিশদ
একটি পেপার স্ট্রিপ। এর মাধ্যমেই করোনা ভাইরাস চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। এভাবেই সবাইকে অবাক করে দিয়ে করোনা রোধক অস্ত্র হিসাবে আত্বপ্রকাশ ঘটাতে চলেছে গোয়েন্দা, সরি, কোভিড টেস্ট কিট ফেলুদা। এমাসেই বাজারে আসতে চলেছে করোনা পরীক্ষার এই অস্ত্র। এটি বাজারে এলে আধ ঘণ্টায় জানা সম্ভব হবে কোনও ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছে কি না।

কত দাম ফেলুদা কিটের?
বাণিজ্যিক ভাবে ফেলুদা করোনা পরীক্ষার স্ট্রিপ বাজারে আনছে টাটা সন্স সংস্থা। মাত্র ৫০০ টাকাতেই কিনতে পাওয়া যাবে এই টেস্ট কিট। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের মতে, ইতিমধ্যেই প্রায় দুই হাজার রোগীর উপরে ফেলুদা কিটের মাধ্যমে পরীক্ষা করে সফল হয়েছেন গবেষকরা। দেখা গিয়েছে ৯৬ শতাংশ ক্ষেত্রে নিখুঁত ভাবে সংক্রমণকে চিহ্নিত করতে সফল হয়েছে ওই স্ট্রিপ। কিন্তু কীভাবে কাজ করে এটি?

কীভাবে কাজ করে ফেলুদা?
CRISPR-CAS9 প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এই ফেলুদা স্ট্রিপে। এই পেপার-স্ট্রিপের ধারে একটি ক্লাস্টার্ড রেগুলারলি ইন্টারস্পেসড শর্ট প্যালিনড্রোমিক রিপিট (CRISPR) জিন-এডিটিং প্রযুক্তি আছে। এটি SARS-CoV-2 এর জিনগত উপাদানকে লক্ষ্য করবে। এই ভাইরাসই মূলত করোনা ভাইরাসের প্রধান কারণ। এই ভাইরাসের আক্রমণে এক ঘণ্টার মধ্যেই শরীরে অসুখ ছড়াতে থাকে।

কতটা নিশ্চিত ফল দিতে সক্ষম ফেলুদা?
কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের দুই বাঙালি বিজ্ঞানী দেবজ্যোতি চক্রবর্তী এবং সৌভিক মাইতি এই করোনা টেস্টিং কিট আবিষ্কার করেছেন। ফেলুদা উৎপাদনকারীর দাবি, এই পরীক্ষার পর RT-PCR পরীক্ষার কোনও প্রয়োজন নেই। এই পরীক্ষায় নেগেটিভ বা পজিটিভ যাই আসে, তা সঠিক ফলাফল হবে। পুনরায় নিশ্চিত করার জন্য RT-PCR-র প্রয়োজন নেই।

সরকারি পরীক্ষা কেন্দ্রেও আসছে ফেলুদা?
এদিকে জানা গিয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি যে ল্যাবে ইতিমধ্যেই RT-PCR পরীক্ষা হচ্ছে। যদি প্রয়োজন হয়, তারাও এই নতুন ফেলুদা কিটের মাধ্যমে ক্লাস্টার্ড রেগুলারলি ইন্টারস্পেসড শর্ট প্যালিনড্রোমিক রিপিট পরীক্ষা করতে পারে। সেই ল্যাবগুলির জন্য নতুন করে কোনও অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।

কবে আসছে ভ্যাকসিন? এই প্রশ্নের মাঝেই করোনা টীকা নিলেন হরিয়ানার মন্ত্রী অনিল ভিজ