হরিয়ানা রাজনীতির নতুন কিংমেকার, চিনে নিন দুষ্মন্ত চৌতালাকে
২০১৪ সালে প্রথমবার হরিয়ানায় সরকার ঘটন করে বিজেপি। ২০১৯-এর নির্বাচন ছিল সেই ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াই। মূলত বিজেপি বনাম কংগ্রেসের লড়াইয়ের কথা ছিল হরিয়ানায়।
২০১৪ সালে প্রথমবার হরিয়ানায় সরকার ঘটন করে বিজেপি। ২০১৯-এর নির্বাচন ছিল সেই ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াই। মূলত বিজেপি বনাম কংগ্রেসের লড়াইয়ের কথা ছিল হরিয়ানায়। সোমবার হরিয়ানায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার পর অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষা হাসি ফুঁটিয়েছিল বিজেপির মুখে। তবে আজ ভোট গণনা শুরু হতেই সেই হাসি মুছে যেতে শুরু করে। তবে এর পছনের মূল কারণ কংগ্রেস ছিল না। বরং বিজেপির হাসি কেরে নেওয়ার পিছনে মূল ব্যক্তি দুষ্মন্ত চৌতালা।
ডার্ক হর্স থেকে কিংমেকার
গতবছরই ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে নিজের দল গড়েন দুষ্মন্ত চৌতালা। সেখান থেকে এক বছরের মধ্যে বিধানসভা নির্বাচনে লড়ে বিজেপি-কংগ্রেসকে টেক্কা দেওয়া চৌতালার পক্ষে বড় সাফল্য বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। ভোট গণনা যত এগিয়েছে তত পরিষ্কার হয়েছে চিত্রটা। মূলত বিজেপি-কংগ্রেসের লড়াই হলেও হরিয়ানাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে জেজেপি। রাজ্যে বৃহত্তম দল হিসাবে বিজেপি-র আবির্ভাব হলেও প্রথমবার ভোটের ময়দানে নেমে দবল ফিগার স্কোর করা দুষ্মন্ত চৌতালার দল এখন সে রাজ্যের কিংমেকার।
ভাই দিগ্বিজয়কে নিয়ে গঠন করেন জননায়ক জনতা পার্টি
হরিয়ানার হিসার জেলায় জন্ম দুষ্মন্তের। পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম হিসাবে রাজনীতিতে আসেন দুষ্মন্ত। ভারতের প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী দেবিলাল চৌধুরীর প্রপৌত্র হলেন এই দুষ্মন্ত। দুই বার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও হয়েছিলেন দেবিলাল। দুষ্মন্তের দাদু ওম প্রকাশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদ সামলেছেন। ওম প্রকাশের ছেলে অজয় সিং চৌতালার ছেলে হলেন দুষ্মন্ত। গতবছর তিনি আর তাঁর ভাই দিগ্বিজয় সিং মিলে জননায়ক জনতা দলটি গড়ে তোলেন। তাঁরা জানান, দেবীলাল চৌধুরীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই এই দল গঠন করা হয়েছে।
এক বছরেরও কম সময়ে শক্তি বৃদ্ধি দলের
ব্যবাসায়িক প্রশাসন নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে পড়াশোনা করে দেশে ফিরে রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি। ২০১৪ সালে হরিয়ানা জনহিত কংগ্রেসের প্রার্থীকে ৩০ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে লোকসভার সদস্য হন তিনি। তবে এরপর থেকে তাঁর রাজনীতির পথ চলায় ছিল অনেক কাঁটা।
২০১৯ লোকসভার প্রাক্কালে চৌধুরী দেবীলালের গঠিত ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদল থেকে চৌতালা ভাইদের দল থেকে বিতারিত করা হয়। মূলত তাঁদের কাকা অভয় সিং চৌতালার সঙ্গে মতবিরোধের জেরেই ঘটনাটি ঘটে। এরপরই তাঁরা গঠন করে নতুন রাজনৈতিক দলের। আর এই কয়েক মাসেই সেই দল তাদের শক্তি বৃদ্ধি করেছে।