নির্ভয়া কেসের ছায়া, গণধর্ষণের পর গোপনাঙ্গে লোহার রড ঢোকানো অবস্থায় উদ্ধার দিল্লির মহিলা
আবারও নৃশংস ধর্ষণের ঘটনার সাক্ষী থাকল দিল্লিবাসী। ৩৮ বছরের এক মহিলাকে নির্মমভাবে গণধর্ষণ করে তাঁর হাত-পা বেঁধে পাটের ব্যাগে জড়িয়ে ফেলে দেওয়া হয়। তাঁকে উদ্ধারের পর দেখা যায় মহিলার গোপনাঙ্গে লোহার রড ঢোকানো। এই ঘটনা মনে করিয়ে দিল নির্ভয়া মামলাকে, জানিয়েছেন দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান।
কমিশন জানিয়েছেন যে নন্দ নাগরির বাসিন্দা ওই মহিলা গত ১৬ অক্টোবর তাঁর ভাইয়ের জন্মদিনে যাওয়ার জন্য গাজিয়াবাদে অটোর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময় চারজন ব্যক্তি এসে ওই মহিলাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় একটি এসইউভি করে। অন্য এক ব্যক্তি সহ ওই চারজন মহিলাকে গণধর্ষণ করে এবং দু'দিন ধরে তার ওপর পাশবিক অত্যাচার চালায়। দিল্লির এক হাসপাতালে ওই মহিলার চিকিৎসা চললেও তাঁর অবস্থা খুবই গুরুতর। গাজিয়াবাদের ঊর্ধ্বতন এসপিকে এই ঘটনায় পদক্ষেপ নেওয়ার রিপোর্ট ও গ্রেফতার সহ এফআইআর চেয়ে মহিলা কমিশন নোটিশ জারি করেছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, 'কমিশন জানিয়েছে যে আক্রান্ত দিল্লির নন্দ নাগরিতে থাকতেন এবং ভাইয়ের জন্মদিন উপলক্ষ্যে তিনি গাজিয়াবাদে যাচ্ছিলেন ১৬ অক্টোবর, সেখান থেকে ফেরার সময় তিনি যখন অটোর জন্য অপেক্ষা করছিলেন তখন চারজন ব্যক্তি তাঁকে স্করপিও গাড়িতে করে অপহরণ করে। তারা তাঁকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়, যেখানে আরও অনেক ব্যক্তি উপস্থিত ছিল।' নোটিশে আরও বলা হয়েছে, 'তারা নির্মমভাবে গণধর্ষণ করে তাঁকে এবং সেই ধর্ষণ চলতেই থাকে এবং দু'দিন ধরে সেই অত্যাচার চলতে থাকে। ওই মহিলার গোপনাঙ্গে তারা লোহার রডও ঢুকিয়ে দেয়। এরপর তাঁকে একটি পাটের ব্যাগে ভরে, হাত-পা বেঁধে, রাস্তায় ফেলে দিয়ে যায়। দিল্লির একটি হাসপাতালে খুবই গুরুতর অবস্থায় ওই মহিলাকে ভর্তি করা হয়েছে।'
ডিসিডব্লিউ প্রধান স্বাতী মালিওয়ার এই ঘটনার নৃশংসতা দেখে বলেন, 'এই ঘটনা খুবই নৃশংস এবং বিরক্তিকর। এটা আমায় নির্ভয়া ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। সব অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার চাই এবং কঠিন পদক্ষেপ তাদের বিরুদ্ধে করা দরকার। আর কতদিন নারী ও শিশুরা এমন চরম নৃশংসতার শিকার হবে তা আমি বুঝতে পারছি না।' পুলিশ জানিয়েছে আশ্রম রোডে এক মহিলা বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলে তাদের কাছে খবর আসে। তারাই তাঁকে জিটিবি হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং মামলা দায়ের করে। চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দু'পক্ষের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের কারণে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আদালতের বিচারাধীন রয়েছে সেই মামলাটি।