মেয়েদের জিন্সের প্যান্ট, মোবাইলে নিষেধাজ্ঞা খাপ পঞ্চায়েতের
রাজ্যে ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ায় মেয়েদের দায়ী করে একটি বৈঠক ডাকে এই গ্রামের গুজ্জর সম্প্রদায়ের খাপ পঞ্চায়েত। মধ্যবয়সী থেকে শুরু করে লোলচর্মসার বৃদ্ধরা এই পঞ্চায়েত বৈঠকে বক্তব্য রাখেন। আজকালকার মেয়েদের 'অসতী' বর্ণনা করে এঁরা বলেন, শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের কারণ হল উত্তেজক পোশাক পরা। জিন্সের প্যান্ট পরলে তা দেখে পুরুষদের মনে কামনার উদ্রেক হয়। তাই নারীঘটিত অপরাধ সমাজে বেড়ে যাচ্ছে। গ্রামে কোনও মেয়ের জিন্স পরা চলবে না। পাশাপাশি, মোবাইল ফোন থাকলে তারা অচেনা পুরুষদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাচ্ছে। বিপদে পড়লে দোষ হচ্ছে সংশ্লিষ্ট পুরুষটির! তাই মোবাইল ফোন ব্যবহারও 'অনৈতিক' বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
ওই গ্রামের বয়স্কদের কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, বিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা চাপানো হল না কেন? জবাবে ওঁরা বলেন, বিবাহিত মেয়েরা স্বামীর কড়া শাসনে থাকে। তাই তাঁদের ওপর এ সব নিষেধ জারি করার দরকার নেই।
খাপ পঞ্চায়েতের এই সিদ্ধান্তকে বিঁধে কংগ্রেস মুখপাত্র রশিদ আলভি বলেন, "নারীদের বিরুদ্ধে এমন বৈষম্য করা ঠিক নয়। মেয়েরাও এ দেশের নাগরিক। একজন পুরুষ যখন নিজের ইচ্ছায় পোশাক পরছেন, একজন মহিলা কেন পারবেন না? জোর করে কেউ এমন কাজ করলে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে তার বিরুদ্ধে।" তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি সরকারের উচিত, খাপ পঞ্চায়েতটির বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া।