অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৯-র কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এক নজরে দেখে নিন
কেন্দ্রীয় বাজেট অধিবেশনের আগে বৃহস্পতিবার সংসদে কেন্দ্রের পেশ করা অর্থনৈতিক সমীক্ষা নিয়ে নানা মুণির নানা মত। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই অর্থনৈতিক সমীক্ষার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

রাজস্ব ঘাটতি
কেন্দ্রের প্রধান আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রমনিয়ণের হাতে তৈরি অর্থনৈতিক সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে রাজস্ব ঘাটতির হার, তার আগের অর্থবর্ষের তুলনায় কমেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে দেশে রাজস্ব ঘাটতির হার ছিল ৬.৪ শতাংশ। পরবর্তী অর্থবর্ষে তা কমে ৫.৮ শতাংশ হয়েছে বলে অর্থনৈতিক সমীক্ষায় জানানো হয়েছে।

জিডিপি
বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণের পেশ করা অর্থনৈতিক সমীক্ষায় দেশের বার্ষিক আর্থিক উন্নয়নের বিবরণ দেওয়া রয়েছে। সমীক্ষার অনুমান, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার হবে ৭ শতাংশ।

আর্থিক বৃদ্ধি
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ভারতকে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের দেশে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এই অর্থনৈতিক সমীক্ষায়। আর এর জন্য ফি বছরে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশে পৌঁছবে বলে জানানো হয়েছে।

বিনিয়োগ
আগামী অর্থবর্ষে দেশে বেসরকারি বিনিয়োগের হার বাড়বে বলেই অর্থনৈতিক সমীক্ষায় জানানো হয়েছে। রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ কমতে থাকায় মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়বে বলে মনে করা হয়েছে। একই সঙ্গে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষ থেকে আর্থিক বৃদ্ধির গতি বাড়ার জন্য দেশের ক্রেতা বাজারের আয়তন ও ক্ষমতা বাড়বে বলে অর্থনৈতিক সমীক্ষায় আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

গ্রামীণ আয়
গত কয়েক বছরে যে দেশে গ্রামীণ আয়ের পরিমাণ কমে গিয়েছিল, তা এই অর্থনৈতিক সমীক্ষায় স্বীকার করা হয়েছে। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে যে গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে তা বাড়তে শুরু করেছে। আগামী দিনে তা আরও বাড়বে বলেই অর্থনৈতিক সমীক্ষায় জানানো হয়েছে।

রফতানি
বিশ্বের বাজারে ভাটার টান এবং বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে সংঘাতের জের ভারতের রফতানি ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও পড়বে বলে অর্থনৈতিক সমীক্ষায় আশঙ্কা করা হয়েছে। বৃদ্ধির হার না বাড়লে রাজস্ব আদায়ে তার প্রভাব পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে।

তেল
বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের পেশ করা অর্থনৈতিক সমীক্ষায় আশা প্রকাশ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়বে উল্লেখযোগ্য ভাবে। তাতে তেল আমদানি অনেক সহজলোভ্য হওয়ায় পেট্রোল, ডিজেল ও অন্যান্য জ্বালানির দাম কমবে বলেই মনে করা হয়েছে।