চাপের মুখে পড়ে সুর বদল কেরলের বাম সরকারের! এখনই কার্যকর হচ্ছে না বিতর্কিত নয়া পুলিশ আইন
রাজ্যপালের সইয়ের আগে থেকেই বিতর্ক দানা বাঁধছিল কেরলের সংশোধিত পুলিশ আইনকে ঘিরে। অবশেষে রাজ্যজোড়া বিতর্কের মুখে পড়ে আগের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটল কেরলের বাম সরকার। এমনকী রবিবার রাজ্যপালের সই পর্ব মেটার পরও তা এখনও কার্যকর হচ্ছে না বলে এদিন সাফ জানাতে দেখা গেল কেরলে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে।

বিপন্ন পারে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাও
বিরোধীদের স্পষ্ট অভিযোগ, এই আইনের কার্যকর হলে রাজ্যবাসীর বাকস্বাধীনতা তো বটেই সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাও বিপন্ন হবে। শুধু বিরোধীরা নয়, যারা বামফ্রন্টের গণতান্ত্রিক জোটকে সমর্থন করেন তাঁরাও এই সংশোধনীর সমালোচনা করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। তাঁদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েই আপাতত এই আইনে স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান পিনরয় বিজয়ন।

কী বলা হচ্ছিল নতুন আইনে
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিজনক পোস্ট করলে ৫ বছর পর্যন্ত জেলের ও ১০ হাজার টাকা জরিমাণারও নিদান দেওয়া হয়েছে এই আইনের নতুন সংশোধনীতে। এর জন্য কেরল পুলিশ আইনে ১১৮ (এ) ধারাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল বলে খবর। কিন্তু এই সংযোজন নিয়েই তুমুল বিতর্কের মুখে পড়ে বিজয়ন সরকার। তারপরেই সিপিআই(এম) এর রাজ্য সচিবালয়ের বৈঠকের পরে এই আইনে স্থগিতাদেশের কথা জানান তিনি।

পুলিশের ক্ষমতা বাড়লেও খর্ব হতে পারে গণতান্ত্রিক অধিকার
যদিও ফেসবুক, ট্যুইটার-সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর পোস্টের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতেই এই আইন আনা হচ্ছিল আগে জানিয়েছিলেন পিনরয় বিজয়ন। এমনকী এই আইন বলেই পুলিশ চাইলে কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনে সুয়োমোটো মামলা দায়ের করতে পারবে। যদিও এতে পুলিশের ক্ষমতা আগের থেকে অনেকাংশে বাড়লেও তা আগামীতে গণতন্ত্রের জন্য বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে মত বিরোধীদের। যার ফলেই শুরু থেকেই বিরোধীতার রাস্তায় হাঁটেন তারা।

কেরল সরকারের বিরোধীতায় খোদ সীতারাম ইয়েচুরি
অন্যদিকে রবিবার রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদের সই পর্ব মেটার পর আইন প্রনোয়নে নতুন অধ্যাদেশ জারি করে কেরল সরকার। আর তারপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রাজ্যবাসী। অন্যদিকে তাৎপর্যপূর্ণ কেরল সরকারের এই আইনের বিরোধিতা করতে দেখা যায় সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরিকে। তার সাফ বক্তব্য, কেরল সরকারের নতুন আইনের সাথে তাদের দলের আদর্শগত কোনও মিল নেই। এমতাবস্থায় ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়েই সিদ্ধান্ত বদলে কার্যত বাধ্য হল বিজয়ন সরকার। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

তৃণমূল ভেঙে ভিতরে ভিতরে মহাজোট গড়ে উঠছে বাংলায়! বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ কংগ্রেসের