সোনা পাচারের কাজে ব্যর্থ, অপহৃত কেরলের মহিলাকে মারধর করে মুক্তি দিল অপহরণকারীরা
অপহৃত কেরলের মহিলাকে মারধর করে মুক্তি দিল অপহরণকারীরা
কেরলের আলাপুঝা জেলা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় দল সেখানকার এক মহিলা বাসিন্দাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সম্প্রতি অপহরণকারীদের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন ওই মহিলা। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি জানিয়েছেন যে তাঁকে দিয়ে জোর করে সোনা পাচার করানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।
একই দিনে অপহরণ ও মুক্তি
জানা গিয়েছে, মন্নরের কুরাত্তিকাদুর বাসিন্দা বিন্দুকে সোমবার খুব ভোরবেলায় তাঁর বাড়ি থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয় এবং ওইদিনই তাঁকে পাওয়া যায় পালাকাদ্দের বদাকানচরিতে। পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করেছে। বিন্দুর বিরুদ্ধে যদিও অভিযোগ উঠেছে যে সোনা পাচারের সঙ্গে তাঁর যোগ রয়েছে এবং তিনি প্রায়ই বিমানে করে বিভিন্ন জায়গায় সফর করেন। তবে বিন্দু মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের সামনে জানিয়েছেন যে তিনি নিরাপরাধ।
বিন্দুর পরিবারের অভিযোগ
জানা গিয়েছে, সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ বিন্দুর বাড়ির দরজা ভেঙে তাঁকে জোর করে বাইরে নিয়ে আসে। বিন্দুর পরিবার অভিযোগ জানিয়েছে যে ১৫ জনের একটি দল লাঠি ও অস্ত্র নিয়ে বাড়ির দরজায় জোরে জোরে আঘাত করতে থাকে। প্রথমে তারা বাড়ির কলিং বেল বাজায় তারপর বাড়ির দরজা ভেঙে দেয় এবং বিন্দুকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরিবারের আরও অভিযোগ এই অপহরণের পেছনে কোঝিকোড়ের কোদুভালির একটি দলের হাত রয়েছে। পালাক্কাদ থেকে বিন্দুকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁর পিঠে আঘাত লেগেছে।
বিন্দুর বয়ান
বিন্দু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে তিনি গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দুবাই থেকে ফিরেছেন। তিনি যখন ফিরছিলেন হানিফা নামে এক ব্যক্তি তাঁকে একটি ব্যাগ দেয় এটা বলে যে বিমানবন্দরে কেউ এসে তাঁর থেকে ব্যাগটি নিয়ে নেবে। বন্দু বলেন, 'কিন্তু পরে, সিকিউরিটি চেকের পর, আমাকে জানানো হয় ব্যাগের মধ্যে সোনা রয়েছে। আমি যখন মালি বিমানবন্দরে অবতরণ করি, তখন কোনও সমস্যায় না জড়ানোর জন্য আমি ব্যাগটি ফেলে দিই।' বিন্দু আরও জানিয়েছেন কেরলে ফিরে আসার পর থেকেই তাঁকে বেশকিছু জন অনুসরণ করতে শুরু করে এবং হুমকিও দেয়। বিন্দু বলেন, 'আমি যখন অবতরণ করি, বিমানবন্দরে একজন আমার জন্য অপেক্ষা করছিল। ওই ব্যক্তি আমায় তার সঙ্গে যেতে বলে। কিন্তু আমরা তার সঙ্গে যেতে রাজি হই না। বেশ কিছু গাড়ি আমাদেরকে সেই সময় অনুসরণ করছিল। পরের দিন কেউ একজন আমার বাড়ি এসে জানান যে তারা অন্য কারোর সঙ্গে আমায় মিলিয়ে ফেলেছিল। আমরা ভেবেছিলাম পুলিশকে গোটা ঘটনাটি জানাবো কিন্তু সোমবারই তারা আমায় অপহরণ করে।'
বিন্দু বলেন, 'ওই দলটি আমায় মারধর করে এবং আমার সোনার দুল ও হার ছিনিয়ে নেয়। অনেক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে আমি নাকি সোনা পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত আছি। এ ধরনের দাবি করার আগে কেউ যদি যাচাই করে দেখে তবে তারা বিষয়টি বুঝতে পারবে।'
বিন্দুর যোগ রয়েছে কিনা দেখছে পুলিশ
মন্নার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কেরলের বাসিন্দা পিটারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও সে অপহরণের দলে সামিল ছিল না। বিন্দুর থেকে অভিবাসন আধিকারিকেরা এই ঘটনা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছে। পুলিশ খতিয়ে দেখছে বিন্দু আদৌও সোনা পাচারের সঙ্গে যুক্ত কিনা।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে হতে পারে বৃষ্টি, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার পূর্বাভাস একনজরে