নতুন কৃষি আইন নিয়ে ধাক্কা এবার গেরুয়া শিবিরে! কেরলে বামেদের সঙ্গে সুর মেলালেন একমাত্র বিজেপি বিধায়ক
কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করাল কেরল। উদ্যোগটা নিয়েছিল কেরল সরকার (kerala govt) এবং সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। বিধানসভা সর্বসম্মতভাবে পাশ হওয়া প্রস্তাবে কৃষি আইন (farm law) বাতিলের দাবি তোলা হয়েছে।

দিল্লির সীমান্তে কৃষক বিক্ষোভ
সেপ্টেম্বরে সংসদে পাশ হয়েছিল নতুন কৃষি আইন। এই আইনকে কৃষক বিরোধী বলে অভিযোগ করে প্রতিবাদে নেমে পড়েন কৃষকরা। প্রায় দুমাস স্থানীয়ভাবে প্রতিবাদ জানানোর পর দিল্লি চলোর ডাক দেন পঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানার কৃষকরা। এরইমধ্যে ২৬ নভেম্বর দেশব্যাপীর ধর্মঘট করা হয়। বর্তমানে শৈত্যপ্রবাহের মধ্যেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। পুরনো বছরের শেষে দিল্লির সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে সিঙ্ঘু, গাজিপুর, টিকরি সীমান্তে প্রচুর সংখ্যায় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এখনও কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে কৃষকদের দাবিগুলির মধ্যে তিনটি নতুন আইন বাতিল করা এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনওরকম আলোচনা হয়নি।

কেরল বিধানসভায় পাশ কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাব
এদিন কেরল বিধানসভায় কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাবটি রাখেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। এই প্রস্তাব পাশ করাতে বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল সেখানে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নতুন কৃষি আইনে কৃষকদের দরাদরির ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেবে। অন্যদিকে এই আইন কর্পোরেটদের হাতকে শক্ত করবে বলেই জানানো হয়েছে।
প্রস্তাবের বলা হয়েছে,স কৃষকদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ নতুন আইন। এই পরিস্থিতিতে সেখানে সরকার কৃষকদের থেকে খাদ্যশস্য সংগ্রহ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছে, তার প্রভাব পড়বেখাদ্য সরবরাহে এবং খাদ্য সুরক্ষায়। যার জেরে মজুরদারি এবং কালোবাজারি বাড়বে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রস্তাবে।

একমাত্র বিজেপি বিধায়ক প্রস্তাবের পাশে
কেরল বিধানসভায় একমাত্র বিজেপি সদস্য হলেন ও রাজাগোপাল। এদিনের প্রস্তাবকে তিনি সমর্থন করেছেন। যা বিজেপির পক্ষে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজাগোপাল বলেছেন, এদিনের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে তিনি কিছু বলবেন না। অন্যদিকে ভোটাভুটির সময় তিনি বিরোধিতাও করবেন না। তবে রাজ্য সরকারের প্রস্তাব তিনি সমর্থন করায় ভোটদানের সময় তিনি বিরত থাকার কথা জানিয়েছিলেন।

কৃষি রাজ্যের বিষয়
অন্যদিকে সংবিধানের সপ্তম তপশিল অনুযায়ী, কৃষি হল রাজ্যের বিষয়। যেহেতু এই আইনের প্রভাব রাজ্যগুলির ওপরেও পড়বে, তাই আন্তঃরাজ্য বৈঠকে বিল নিয়ে আলোচনার দরকার ছিল বলে মন্তব্য করা হয়েছে প্রস্তাবে। বিলটি নিয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটিতেও আলোচনা করা হয়নি। কেরলের এই বিশেষ অধিবেশন ২৩ তারিখে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজ্যপাল মন্ত্রিসভার প্রস্তাব অগ্রাহ্য করায় তা সেইসময় হয়নি।
কড়া টক্কর কর্ণাটকে, পিছিয়ে পড়েও বিজেপিকে তাড়া কংগ্রেসের! 'ট্রাম্প কার্ড' জেডিএস-এর হাতে