সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নতুন উপায় বামশাসিত কেরলের! কাজ শুরু পঞ্চায়েতের
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নতুন উপায় বামশাসিত কেরলের! কাজ শুরু পঞ্চায়েতের
করোনা মোকাবিলায় সারা ভারতে এগিয়ে দক্ষিণের রাজ্য কেরল। বিশ্বের দরবারেও নাম করেছে দক্ষিণের এই রাজ্য। এবার সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং বজার রাখতে নয়া পন্থ নিল সেখানকারই এক পঞ্চায়েত। ছাতার ব্যবহারের মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছে আলাপুঝার এক পঞ্চায়েত।
করোনা মোকাবিলায় ছাতার ব্যবহার
আলাপ্পুঝাকে কেরলে ছাতার রাজধানী বলা হয়। সেখানেই রাজ্যের ৮০ শতাংশ ছাতার বাজার। এবার সেই আলাপ্পুঝার থানের মুক্কম গ্রাম পঞ্চায়েত ছাতার আরেক ব্যবহার বের করে ফেলেছে। বৃষ্টিতে ছাতার ব্যবহারের পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজার রাখতে বড় সংখ্যায় ছাতার ব্যবহারের কথা বলছে।
দুটো ছাতা একসঙ্গে খুললেই এক মিটার দূরত্ব
পাশাপাশি দুটো ছাতা একসঙ্গে খুললেই এক মিটার দূরত্ব তৈরি হয়ে যাচ্ছে। ফলে ছাতাই হয়ে উঠতে পারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অন্যতম উপায়। পঞ্চায়েত প্রধান পিএস জ্যোতিস বলছেন আমরা এখন তিন ফোল্ডের ছাতা ব্যবহার করি। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে একটা ছাতা খুললে তা বড় জায়গা নিয়ে নেয়। তিনি এব্যাপারে যাবতীয় কৃতিত্ব দিয়েছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী থমাস আইজ্যাককে। পঞ্চায়েতের ২৩ টি ওয়ার্ডে ছাতার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে।
থমাস আইজ্যাকের প্রতিক্রিয়া
কেরলের অর্থমন্ত্রী থমাস আইজ্যাক নিজের করা টুইটে আলাপ্পুঝার গ্রাম পঞ্চায়েতের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, দুটি খোলা ছাতা পাশাপাশি থাকলে ন্যুনতম সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যায়।
ভর্তুকিতে ছাতা
থানেরমুক্কম গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৫ হাজার বাড়িতে বাস করেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। এঁদের অনেকের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল নয়। ফলে পঞ্চায়েতের তরফ থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে, যাতে ভর্তুকিতে ছাতা দেওয়া যায়।
পাশাপাশি কিস্তিতেও ছাতার দাম মেটানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। যদি একটা ছাতার দাম ১৫০ টাকা হয়, তাহলে প্রতিমাসে ১০ টাকা করে ১৫ মাসে সেই দাম মেটানো যাবে।
বিশ্বের তাবড় দেশের তুলনায় করোনায় ভারতে মৃতের হার কম! নেপথ্যে কোন বড় 'কারণ'