'অতিথি' শ্রমিকদের পাশে কেরল, খোলা হল হাজার হাজার ত্রাণ শিবির
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই ২৫ মার্চ থেকে সারা দেশে শুরু হয়েছে লকডাউন। কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। কেরলে এই সংখ্যাটা কম নয়।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই ২৫ মার্চ থেকে সারা দেশে শুরু হয়েছে লকডাউন। কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। কেরলে এই সংখ্যাটা কম নয়। অনেক শ্রমিক পায়ে হেঁটে নিজেক রাজ্যে, গ্রামে ফেরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও কেরলে এইসব পরিযাযী শ্রমিকদের জন্য আশ্রয়স্থল তৈরি করা হয়েছে।
কেরলে ৪৬০৩ টি ত্রাণ শিবির
শুক্রবার পর্যন্ত কেরলে ৪৬৩০ টি অস্থায়ী ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। এগুলি সবই করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে কেরলে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য। এই ত্রাণশিবিরগুলিতে ১,৪৪,১৪৫ জন শ্রমিককে আশ্রয় দেওয়া গিয়েছে। তবে সরকারি ভাবে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে এঁদের পরিযায়ী শ্রমিক বলা হচ্ছে না। তাদের বলা হচ্ছে অতিথি শ্রমিক।
ঘরছাড়াদের জন্য আরও ৩৫ টি শিবির
এছাড়াও ঘরছাড়া ও নিঃস্ব ১৫৪৫ জনের জন্য আরও ৩৫ টি শিবির করা হয়েছে।
খাবার ছাড়াও দেওয়া হচ্ছে অপরিহার্য সব কিছু
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, শিবিরগুলিতে খাবার ছাড়াও, মাস্ক, সাবান, স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে। আগামী দিনগুলিতে এই কাজের জন্য আরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। অতিথি শ্রমিকদের মাতৃভাষা বোঝানোর জন্য লিফলেট, ভিডিও তৈরি করা হয়েছে।
জেলাশাসকদের বাড়তি দায়িত্ব
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বেশ কিছু জায়গায় শ্রমিকরা খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছেন। সরকার সেইসব বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। জেলাশাসকরা নিজেদের দায়িত্বে বিষয়টি দেখছেন। এছাড়াও শ্রম দফতরও বিষয়টি দেখছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, স্থানীয় নির্বাচিত সংস্থাগুলিকে বলা হয়েছে রাস্তার কুকুর ও হনুমানদের খাবারের বন্দোবস্ত করতে। কেননা এই মুহুর্তে রাস্তা এবং মন্দিরগুলি ফাঁকা।