কেরল সন্ন্যাসিনী ধর্ষণ মামলায় বেকসুর খালাস বিশপ ফ্রাঙ্কো মুলাক্কাল
কেরল সন্ন্যাসিনী ধর্ষণ মামলায় বেকসুর খালাস বিশপ ফ্রাঙ্কো মুলাক্কাল
কেরলে সন্ন্যাসিনী ধর্ষণ মামলায় প্রধান অভিযুক্ত বিশপ ফ্রাঙ্কো মুলাক্কালকে বেকসুর খালাস করে দিল কোট্টায়ামের অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালত। ধর্ষণ মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন বিশপ এবং আদালত থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, 'ভগবানকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, ফ্রাঙ্কো মুলাক্কাল ভারতের প্রথম ক্যাথলিক বিশপ, যাঁকে এক সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণ করার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি ২০১৮ সালে গ্রেফতার হন। ৪৫ বছরের সন্ন্যাসিনী তাঁর অভিযোগে জানিয়েছিলেন যে ২০১৪ সালের ৫ মে বিশপ মুলাক্কাল কুরাভিলঙ্গদ কনভেন্টে আসেন এবং রাতের বেলা বিশপ তাঁর ঘরে সন্ন্যাসিনীকে ডেকে পাঠান এবং তাঁকে ধর্ষণ করেন। সন্ন্যাসিনী এও অভিযোগ তোলেন যে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তাঁকে বিশপ মোট ১৩ বার ধর্ষণ করেছেন। কেরলের সিরিয়–মালাবার চার্চের বিশপ ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে কেরল পুলিশ। আর অভিযোগ সামনে আসার পরই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল বিভিন্ন মহলে। এই ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন অনেকেই। অড়েক সন্ন্যাসিনী, সমাজ কর্মী ও রাজনৈতিক নেতারা সামনে এগিয়ে এসে মুলাক্কালের গ্রেফতার দাবি করেছিলেন। এরপরই ২০১৮ সালে গ্রেফতার হন বিশপ।
যদিও মুলাক্কাল দাবি করেছিলেন যে তিনি কুরাভিলঙ্গদ কনভেন্টে ২০১৪ সালের ৫ মে রাত কাটাননি। তিনি বরং জানিয়েছেন যে তিনি শুধু কনভেন্ট পরিদর্শনে গিয়েছিলেন এবং মুত্থালাকোডামের অন্য এক কনভেন্টে তিনি রাতে থেকেছিলেন। ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে মুলাক্কাল জানান যে এই অভিযোগ আনার পেছনের কারণ হল এক মহিলা তাঁর কাছে অভিযোগ করেছিসেন যে ওই সন্ন্যাসিনীর সঙ্গে তাঁর স্বামীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে এবং মুলাক্কাল ওই সন্ন্যাসিনীর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
বিশপ ফ্রাঙ্কো মুলাক্কাল কেরলের ত্রিশূর জেলার মাট্টোম গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ১৯৯০ সালে একজন বিশপ হিসাবে নিযুক্ত হন এবং ২০০৯ সালে একজন সহকারি বিশপ হন। ২০১৩ সালে তিনি জলন্ধরের বিশপ পদে নিয়োগ হন। জলন্ধরে বিশপ থাকার সময়ই তাঁর ওপর সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগের পর তাঁর ওপর তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এরপর কেরল পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তলব করলে বিশপ তাঁর পদ ছেড়ে দেন ২০১৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর।