প্রজাতন্ত্র পালনের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী নিজের হাতে ওড়ালেন উলটো জাতীয় পতাকা
প্রজাতন্ত্র পালনের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী নিজের হাতে ওড়ালেন উলটো জাতীয় পতাকা
প্রত্যেক জাতীয় কোনও দিবস যেমন ছাব্বিশে জানুয়ারি কিংবা ১৫ আগস্ট কিংবা কোনও স্বাধীনতা সংগ্রামীর জন্মদিনে এই ঘটনাটি যেন এখন প্রায়ই ঘটছে। পতাকা উল্টো ভাবে উড়ছে আর তা নিয়ে খবর। কিছু মাস আগে বাংলার বামেরা ঠিক এমন কান্ডটিই ঘটাতে যাচ্ছিল , বাঁচিয়ে দেন মহম্মদ সেলিম। কংগ্রেসের জন্মদিনে নিজেদের পতাকা উলটো উত্তলন করা কেউ আটকাতে পারেনি। সোনিয়া গান্ধীর সামনেই ঘটে ঘটনা। বাধ্য হয়ে পতাকা নামিয়ে নিয়ে পালিত হয় দলের জন্মদিন। এবার একদম জাতীয় পতাকা উলটোভাবে উড়িয়েই পালিত হল প্রজাতন্ত্র দিবস। স্থান কেরালা।
প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে উল্টো জাতীয় পতাকা কে ওঠালেন? কান্ডটি ঘটিয়েছেন পিনারাই বিজয়ন মন্ত্রিসভার সদস্য আহমেদ দেবাকরকোভিল। ঘটনাস্থল কাসারগড় পুরসভা প্রাঙ্গণ। সেখানে আয়োজিত হয়েছিল প্রজাতন্ত্র দিবস। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আহমেদ দেবাকরকোভিল। স্বাভাবিকভাবেই প্রধান অতিথি তিনি। পতাকা খুলবেন তিনিই। তিনি পতাকা ওড়ালেন। সবই হল ,কিন্তু উলটো ম জাতীয় পতাকা উত্তোলন হল উলটো ভাবে। অভিযোগ এমনটাই। এসব ঘটনায় সুযোগ ছাড়তে নেই। রণে নেমে পড়েছ বিজেপি। তারা বিশেষ দেশপ্রেমী। ভুল বশত কিছু হয়েছে এসব তারা বোঝেন না। সবই ইচ্ছাকৃত বলে দাবী করছেন তাঁরা। তাদের দলের সমর্থকরা এননিতেই যাকে তাকে যখন তখন দেশদ্রোহী বলে দেন। পাকিস্তান পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এতো মহা গর্হিত কাজ। প্রজাতন্ত্র দিবসে উলটো পতাকা উত্তলন! আহমেদের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ তুলেছেন তারা। শুধু এতেই থামেনি, ইস্তফাও দাবি করে দিয়েছে বিজেপি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি আধিকারিকরা । মজা এখানেই যে এই মহা 'ভুল' কারও চোখেই পড়েনি। মন্ত্রী ওই অবস্থাতেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে, চলে যাচ্ছিলেন। অনুষ্ঠানে হাজির সাংবাদিকদের বিষয়টি নজরে আসে। দ্রুত মন্ত্রী ফিরে আসেন। নতুন করে সঠিক ভাবে পতাকা উত্তোলন করেন। কিন্তু ততক্ষণে যা হবার হয়ে গিয়েছে।এদিকে দিল্লির রাজপথে মার্চ করে ৬টি আর্মি বিভাগ। ছিল আসাম রেজিমেন্ট, জম্মু ও কাশ্মীর লাইট রেজিমেন্ট, শিখ রেজিমেন্ট, আর্মি অর্ডিন্যান্স কর্পস এবং প্যারাসুট রেজিমেন্ট।ব্যান্ডে ছিল মাদ্রাজ রেজিমেন্টাল সেন্টার, মারাঠা রেজিমেন্টাল সেন্টার, জম্মু ও কাশ্মীর লাইট রেজিমেন্টাল সেন্টার, আর্মি মেডিক্যাল কর্প সেন্টার এন্ড স্কুল। ছিল১৪ টি গোর্খা ট্রেনিং সেন্টার, আর্মি সাপ্লাই কর্প সেন্টার এন্ড কলেজ, বিহার রেজিমেন্টাল সেন্টার এবং আর্মি অর্ডিন্যান্স কর্পস সেন্টার। নৌবাহিনীতে ছিল ৯৬ জন নৌসেনা ও চার কন অফিসার এরপরে ছিল নৌবাহিনীর বিশ্যাল ট্যাবলো।