বাইকে ১৫০ কিমি অতিক্রম করে ক্যান্সার রোগীর ওষুধ পৌঁছালেন কেরলের মেডিক্যাল সার্জেন্ট
করোনা
ভাইরাসের
জেরে
দেশজুড়ে
চলছে
লকডাউনের
পরিস্থিতি।
এরকম
অবস্থায়
মানবিকতার
নজির
গড়লেন
কেরলের
এক
মেডিক্যাল
সার্জেন্ট।
তিনি
বাইকে
করে
১৫০
কিমি
রাস্তা
পেরিয়ে
৪
বছরের
এক
ক্যান্সার
রোগীর
পরিবারকে
ওষুধ
দিয়ে
আসলেন।
মার্চ
মাসের
শেষের
দিকে
লকডাউনের
কারণে
ওই
শিশুকে
পরিবার
হাসপাতালে
নিয়ে
যেতে
পারেনি।
ওই শিশুটি কেরলের আলাপুঝা জেলায় থাকে এবং প্রত্যেক মাসে কেমো থেরাপির জন্য তাকে তিরুবন্তপুরমের আঞ্চলিক ক্যান্সার কেন্দ্রে যেতে হত। কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জন্য হাসপাতালের কেমো ইউনিট বন্ধ রাখা হয়। সে কারণে ওই শিশুকে ওষুধের সহায়তা দিয়ে বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ওই জেলায় ক্যান্সারের ওষুধগুলি উপলব্ধ নয়, তাই পরিবার বাধ্য হয়ে পুলিশ অফিসার অ্যান্টনি রথিশের কাছে ছুটে যান। রথিশ তাঁর এক বন্ধু তথা প্রাক্তন পুলিশ কর্মী বিষ্ণুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাঁকে তিরুবন্তপুরমে ক্যান্সার হাসপাতাল থেকে ওষুধগুলি নিয়ে আসতে বলেন। বিষ্ণু বর্তমানে তিরুবন্তপুরম মেডিক্যাল কলেজের সার্জেন্ট।
রথিশ বলেন, 'বিষ্ণু কাজে যাওয়ার জন্য আলাপুঝা থেকে তিরুবন্তপুরমে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। তিনি তাঁর ডিউটির জন্য সেখানে একসপ্তাহ থাকবেন বলে পরিকল্পনা করেন। আমি তাঁকে পরিস্থিতি জানাই ও বিষ্ণু সাহায্যর জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়।’ বিষ্ণু প্রেসক্রিপশন সংগ্রহ করে ২৯ মার্চ আলাপুঝা থেকে রওনা দেন।
বিষ্ণু যে প্রেসক্রিপশনটি নিয়ে এসেছিলেন সেটি পুরনো ছিল, কিন্তু চিকিৎসক যেহেতু আগে থেকে রোগীর পরিচিত তাই তিনি বুঝতে পারেন যে ওই শিশুর বিভিন্ন ধরনের ওষুধের প্রয়োজন। ওই শিশুর যা যা ওষুধের প্রয়োজন তা সবই একঘণ্টার মধ্যে কোনও সমস্যা ছাড়াই পেয়ে যান বিষ্ণু। কিন্তু ওইদিন সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শিশুটির ওষুধের প্রযোজন। চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন বিষ্ণু।
প্রথমে বিষ্ণু ভেবেছিলেন যে ওষুধগুলি আধা রাস্তা কোল্লাম পর্যন্ত পৌঁছে দেবেন। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। তাই তিনি ফের আলাপুঝাতে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। অ্যান্টনি রথীশ বলেন, 'পরিবারের হাতে বিকেল ৫টা ১০মিনিটের মধ্যে বিষ্ণু ওষুধ তুলে দেন। খুব ঝুঁকি নিয়ে তিনি বাইকে অল্প সময়ের মধ্যে ১৫০ কিমি অতিক্রম করেন।’ রথীশ জানিয়েছেন যে শিশুটির পরিবার খুবই গরীব এবং চিকিৎসার অর্থ জোগাড় করার জন্য সংগ্রাম করছে এবং আশা করে আছেন যে কেউ না কেউ তাঁদের সহায়তা করবে। বিষ্ণু ওই পরিবারের কাছ থেকে কোনও অর্থ নেননি।