এনআইটি থেকে পাশ করা যুবক কেরলে আইএসআইএস মডিউল তৈরির কারিগর!
কেরলে আইএসের মডিউল তৈরির পিছনে আবদুল্লা নামে এক যুবক রয়েছে বলে দাবি পুলিশের। এর সম্পর্কে খোঁজ নিতে গিয়ে পুলিশ জেনেছে, এই যুবক কালীকটের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বা এনআইটি থেকে পাশ করেছে।
কোঝিকোড়, ২৫ অক্টোবর : শাজির মঙ্গলাসেরি আবদুল্লা। কেরলে আইএসের মডিউল তৈরির পিছনে এই যুবকই রয়েছেন বলে মনে করছে পুলিশ। এই আবদুল্লার সম্পর্কে খোঁজ নিতে গিয়ে পুলিশ জেনেছে, এই যুবক কালীকটের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বা এনআইটি থেকে পাশ করেছে। [ভারতে স্লিপার সেল তৈরিতে ব্যস্ত আইএস জঙ্গিরা!]
গোয়েন্দারা জেনেছেন, প্রযুক্তির নানা খুঁটিনাটি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ আবদুল্লা ২০০২ সালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিটেক করেছে। এরপরে ২০০৪ সালে চাকরি পেয়ে সে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে চলে যায়। কোঝিকোড়ের পাসপোর্ট অফিস থেকে ২০০৪ সালে প্রথমবার পাসপোর্ট ইস্যু হয় আবদুল্লার। পরে ২০১৪ সালে ফের তা পুনর্নবীকরণ করা হয়। [বাংলায় আইএসের 'স্লিপার সেল' হিসাবে কাজ করছে জামাত জঙ্গিরা]
মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান আবদুল্লা পড়াশোনার অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। এমনটাই জানিয়েছেন তার প্রতিবেশীরা। ১৯৮১ সালে তার জন্ম হয়। বাবা-মায়ের নাম যথাক্রমে মঙ্গলসারি আবদুল্লা ও সুবেইদা। আবদুল্লার দুই বোন ও এক ভাই রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। [আল আদনানির এই ঘোষণার পরই সারা বিশ্বে রমরমা আইএস জঙ্গিদের]
দশ বছর আগে আবদুল্লার বাবা মারা গিয়েছেন। ভাই একটি সোনার দোকানের গাড়ি চালানোর কাজ করেন। পরিবার এখনও মানতে পারছে না যে তাদের ঘরের ছেলে আইএসের মতো জঙ্গি সংগঠনের হয়ে কাজ করতে পারে। [৮০ জন আইএস সমর্থক ঘুরছে পশ্চিবঙ্গ জুড়ে, আইএস টার্গেটে রয়েছে বাংলা]
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, আবদুল্লা কী করে তা তারা জানেন না। আইএস কি সেটাও তাদের কাছে অজানা। তারা শুধু দেখেন, প্রতিমাসে নিয়ম করে ছেলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেয়।
এদিকে আইএসের তদন্তে নেমে এনআইএ জানতে পারে কেরলে আইএস মডিউলের মূল পাণ্ডা এই আবদুল্লাই। কর্ণাটকে একটি আইএস মডিউলের জঙ্গিদের গ্রেফতার করার পরই আবদুল্লার কথা জানা গিয়েছে। আরও খবর, আফগানিস্তানে বসে থাকা আইএসের নেতৃত্বের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে আবদুল্লার। এবং এদেশে মালয়ালি ভাষায় নিয়মিত ফেসবুকে উপদেশ ছড়াচ্ছে সে। তবে সমীর আলি ছদ্মবেশে অ্যাকাউন্ট খুলে।
তবে কবে ও কীভাবে আইএসের মতো জঙ্গি সংগঠনে ভিড়ে গেল আবদুল্লার মতো কৃতীরা, সেটাই এখন তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।