বামশাসিত কেরলই মডেল, উদ্বৃত্ত অক্সিজেন যাচ্ছে প্রতিবেশী রাজ্যে
যেই মুহূর্তে জাতীয় রাজধানী দিল্লি, দেশের সব থেকে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, বাণিজ্য রাজধানী মুম্বই, মোদী-অমিত শাহের রাজ্য গুজরাত অক্সিজেনের (oxygen) ঘাটতি নিয়ে অসুবিধায়, ঠিক সেই সময় বামশাসিত কেরলের (kerala) পরিস্থিতি একেব
যেই মুহূর্তে জাতীয় রাজধানী দিল্লি, দেশের সব থেকে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, বাণিজ্য রাজধানী মুম্বই, মোদী-অমিত শাহের রাজ্য গুজরাত অক্সিজেনের (oxygen) ঘাটতি নিয়ে অসুবিধায়, ঠিক সেই সময় বামশাসিত কেরলের (kerala) পরিস্থিতি একেবারে অন্য। দেশের মধ্যে কেরলই হল একমাত্র রাজ্য যেখান থেকে উদ্বৃত্ত অক্সিজেন প্রতিবেশী তামিলনাড়ু, কর্নাটক কিংবা গোয়ায় পাঠানো হচ্ছে।
কেরলে একাধিক রাজ্যে ও কেন্দ্রের সংস্থা অক্সিজেন তৈরি করে
কেরলের একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা অক্সিজেন তৈরি করে। তার মধ্যে আইনক্স তৈরি করে ১৪৯ মেট্রিকটন, কেরালা মিনারেলস অ্যান্ড মেটালস ৬ মেট্রিকটন, কোচিন শিপইয়ার্ড ৫.৪৫ মেট্রিকটন, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন ০.৩২২ মেট্রিট টন এবং ১১ টি এয়ার সেপারেশন ইউনিট ৪৪ মেট্রিকটন অক্সিজেন তৈরি করে। তবে কোনও সংস্থায় তাদের ১০০ শতাংশ প্রস্তুত করছে না। যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে সংস্থাগুলি ১০০ শতাংশ উৎপাদন করবেষ জানিয়েছেন পেসোর ডেপুটি চিফ কন্ট্রোলার এবং লাক্ষাদ্বীপ এবং কেরলের অক্সিজেন সরবরাহের নোডাল অফিসার আর ভেনুগোপাল।
কেরলেও বাড়ছে অক্সিজেনের চাহিদা
কেরলেও বাড়ছে অক্সিজেনের চাহিদা। ২৫ ও ৩০ এপ্রিল নাগাদ কেরলে অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে হতে পারে যথাক্রমে ৫১.৪৫ এবং ৫৬.৩৫ মেট্রিকটন। এছাড়াও কোভিড ছাড়াও অন্য রোগীদের অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে হতে পারে ৪৭.১৬ মেট্রিক টন।
প্রথম দফার করোনার পরেই বেড়েছে আইসিইউ বেড
প্রথম দফার করোনার পরেই কেরলে আইসিইউ বেড বাড়ানো হয়েছে। ডাবল করা হয়েছে ভেন্টিলেটরের সংখ্যাও। এই মুহূর্তে সেখানে ৯৭৩৫ টি আইসিইউ বেড রয়েছে, এর মধ্যে মাত্র ৯৯৯ টি ভর্তি রয়েছে। ৩৭৭৬ টি ভেন্টিলেটরের মধ্যে মাত্র ২৭৭ টি ভর্তি রয়েছে।
কেরলে উদ্বৃত্ত অক্সিজেন
পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভ সেফটি অর্গানাইজেশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কেরলে প্রতিদিন অক্সিজেন তৈরি হয় ১৯৯ মেট্রিক টন। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি সামলাতে প্রয়োজন হচ্ছে ৩৫ মেট্রিক টন। অন্যদিকে কোভিড ব্যতিত রোগের জন্য লাগছে ৪৫ মেট্রিকটন। এছাড়াও কেরলে কোট্টায়াম, এর্নাকুলাম, ত্রিসুরের মেডিক্যাল কলেজে প্রেসার সুইং অ্যাবজর্পশন সিস্টেম বসানো হচ্ছে। যার কাজ সম্পূর্ণ হলে সেখান থেকেই আরও অক্সিজেন তৈরি হবে।
বিজেপিতেও লোক আছে তাঁর, গেরুয়া শিবিরের সম্ভাব্য আসন সংখ্যা নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি মমতার