ভয়ঙ্কর বন্যায় ভাসছে কেরল! বিজয়নের বার্তায় সাড়া, উদ্ধারকাজে মাঠে নামল বায়ুসেনা-নৌসেনা
ভয়ঙ্কর বন্যায় ভাসছে কেরল, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮! বায়ুসেনা ও নৌসেনার সাহায্য চাইল বিজয়ন সরকার
বিদায় লগ্নেও রুদ্রমেজাজে বর্ষা। গত কয়েকদিনের একটানা বৃষ্টিতে ভাসছে দক্ষিণ ভারতের একটা বড় অংশ। বানভাসী হয়েছে কেরল। এমনকী ভয়াবহ বন্যার জেরে ইতিমধ্যেই ১৮ জনের মৃত্যুও হয়েছে বলে খবর। কেরলের একাধিক জেলায় প্রবল বৃষ্টি চলছে। সেই সঙ্গে ভূমিধ্বসে মৃত্যুর খবর আসছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। এদিকে শনিবার রাতেই কোত্তেয়াম জেলার কোত্তিকল এলাকা থেকে ভূমিধসের খবর মিলেছিল।
হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
কোত্তিকলের সেই ভূমিধ্বসে ৬ জনের মৃত্যুও হয় বলে জানা যায়। অন্যান্য জেলা থেকে ইতিমধ্যেই আরও ৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অন্যদিকে কোত্তিকলেই আবার রবিবার সকালে সেখান আরও ৩টি দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। জোরকদমে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী(NDRF) ও ভারতীয় সেনা। উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে স্থানীয় প্রশাসনও।
জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, কেরলের দক্ষিণ ও কেন্দ্রীয় অংশে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১১ টি টিম, সেনার দুটি, ও ডিফেন্স সার্ভিস কর্পস (DSC) সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর একাধিক দল একযোগে কাজ করছে। এদিকে ইতিমধ্যেই কেরল সরকারের পক্ষ থেকে অতি ভারী বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত এলাকার লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজও শুরু করা হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে।
বায়ুসেনা ও নৌসেনার সাহায্য চাইল কেরল সরকার
এদিকে পরিস্থিতি ক্রমেই আরও জটিল আকার ধারণ করায় বায়ু সেনা ও নৌ সেনা সাহায্য চেয়েছে কেরল সরকার। ইতিমধ্যেই রাজ্যকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছে বায়ুসেনা। কোট্টায়ম ও ইদুক্কির মত বন্যা বিপর্যস্ত জেলাগুলিতে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন। অন্যদিকে করোনাকলেই এই ব্যাপক বৃষ্টির মধ্যেও সংক্রমণের উদ্বেগও ভাবাচ্ছে সরকারকে। আর সেই কারণেই যাবতীয় কোভিড বিধি মেনেই দুর্গতদের বিভিন্ন রিলিফ ক্যাম্পে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৈঠকে বসছেন তিন মন্ত্রী
অন্যদিকে অন্যান্য এলাকার বাসিন্দারাও যাতে নিরাপদে থাকেন সে জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সব মহলকে বাড়তি তৎপর থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে সূত্রের খবর, কোট্টায়াম সহ রাজ্যের অন্যান্য জায়গার বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা আজ বৈঠকে বসতে চলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী কে রাজন, রোশি অগাস্টিন, ভিএন বাসাভন। কোট্টায়াম, ইডুক্কির পাশাপাশি তীব্র ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাথানামঠিট্টাও। এদিকে ইতিমধ্যেই আবার দিল্লি থেকে উদ্ধারকার্যে পাঠানো হয়েছে এনডিআরএফের আরও একাধিক দলকে।