তৃতীয় ঢেউয়ে করোনার ভরকেন্দ্র কি কেরল? সেরো সার্ভেতে উঠে আসছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য
তৃতীয় ঢেউয়ে করোনার ভরকেন্দ্র কি কেরল? সেরো সার্ভেতে উঠে আসছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য
বর্তমানে গোটা দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ঘোরাফেরা করছে ৪০ থেকে ৪৫ হাজারের আশেপাশে। এদিকে বর্তমানে গোটা দেশে করোনার প্রভাব বেশ থানিকটা কমলেও নিত্যনতুন স্ট্রেনের আগমণেই বাড়ছে চিন্তা। অন্যদিকে পরিসংখ্যান বলছে করোনা তালিকায় এখনও পর্যন্ত শীর্ষস্থানে মহারাষ্ট্র থাকলেও সর্বাধিক উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কেরল। এমমকী করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রধান ভরকেন্দ্র হওয়ার দিকেও এগিয়ে চলেছে এই রাজ্য।
সেরো সার্ভেতে উঠে আসছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য
বর্তমান পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে গোটা দেশের মোট সক্রিয় রোগীর অর্ধেকই প্রায় কেরলের। ভারতের করোনা পরিসংখ্যান বলছে বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা রয়েছে ৩ লক্ষ ৯৭ হাজার ৩২৪ জন। তারমধ্যেই শুধুমাত্র কেরলের রোগী রয়েছে ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫৩১ জন। এমতাবস্থায় কেরলের উপর করা ইন্ডিয়ান কাউন্সির অফ মেডিকেল রিসার্চের সেরোসার্ভেতে উঠে আসছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।
৪৪.৪ শতাংশের দেহেই করোনা অ্যান্টিবডি
জুনের ১৪ তারিখ থেকে জুলাইয়ের ৬ তারিখ পর্যন্ত করা সেরোসার্ভেতে দেখা যাচ্ছে কেরলের মোট জনসংখ্যার ৪৪.৪ শতাংশের দেহেই উপস্থিত রয়েছে করোনা অ্যান্টিবডি। সহজ কথায় মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি মানুষ কেরলে করোনা পর্ব শুরুর পর থেকে মারণ ভাইরাসের কবলে পড়েছেন। তার জেরেই তাদের শরীরে তৈরি হয়েছে করোনা অ্যান্টিবডি।
কতদিন কাজ করে এই অ্যান্টিবডি ?
এদিক প্রাথমিক পর্যায়ে সাধারণ ভাবে মনে করা হচ্ছিল, এই সমস্ত করোনা অ্যান্টিবডি সাধারণ মানুষের শরীরে ছয় থেকে আট মাস পর্যন্ত থাকে। মানে প্রথম সংক্রমণের পর কোনও ব্যক্তির শরীরে এই করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, যা আগামী ছয় থেকে আট মাস পর্যমন্ত কোনও ব্যক্তিকে সুরক্ষা দিতে পারে। যদিও পরে একাধিক গবেষণায় দেখা যায় তা তিন মাস পর্যন্ত কার্যকরী থাকে
দক্ষিণে সর্বাধিক উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কেরলইয
এদিকে কেরল বাদে দক্ষিণের সব রাজ্যেই গত মাস থেকে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিম্নমুখী। গত ৬ জুন তামিলনাড়ুতে যেখানে ২০ হাজারের উপর করোনা সংক্রমণ ছিল, তা গত মঙ্গলবার ১ হাজার ৭০০-তে নেমে আসে। অন্যদিকে গত একমাস আগে কর্ণাটকে লাগামছাড়া করোনা সংক্রমণ দেখা গেলেও বর্তমানে তা দেড়হাজারের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। এদিকে গতকালও কেরলে ২২ হাজারের উপর করোনা সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৩৩ লক্ষ ছুঁইছুঁই।