মাটি ধসে বাংলার ৪ পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু! আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা কেরলের বাম সরকারের
পশ্চিমবঙ্গের (west bengal) ৪ পরিযায়ী (migrant) শ্রমিকের (worker) মৃত্যু (death) কেরলে। শুক্রবার মাটি ধসে মৃত্যু হয় উত্তর ২৪ পরগনায় অশোকনগরের তিন এবং নদিয়ার এক শ্রমিকের। মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছতেই রান্নায় ভেঙে পড়েছেন প
পশ্চিমবঙ্গের (west bengal) ৪ পরিযায়ী (migrant) শ্রমিকের (worker) মৃত্যু (death) কেরলে। শুক্রবার মাটি ধসে মৃত্যু হয় উত্তর ২৪ পরগনায় অশোকনগরের তিন এবং নদিয়ার এক শ্রমিকের। মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছতেই রান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। অন্যদিকে শনিবার কেরলের বাম সরকারের তরফ থেকে মৃত ৪ শ্রমিকের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে অন্তর্বর্তী সাহায্যের (ex gratia) কথা ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মার্চে গিয়েছিলেন ১০ জন
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ৫ মার্চ একটি বেসরকারি সংস্থার হাত ধরে কেরলে গিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর এবং নদিয়ায় হরিণঘাটার মোট ১০ জন শ্রমিক। এঁদের মধ্যে অশোকনগরের বেড়াবেড়ি গ্রামের কুদ্দুস মণ্ডল, শ্রীকৃষ্ণপুরের আসুদি গ্রামের নজ্জেস আলি ও নূর আমিন মণ্ডল এবং হরিণঘাটার ফয়জুল মণ্ডলের মৃত্যু হয় শুক্রবার। মাটি ধসে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত ২ জন ভর্তি হাসপাতালে। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন কোচির জেলাশাসক জাফর মালিক। ঘটনাস্থলে যায় কেরল ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ-এর একটি দল। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া ছয়জনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ৪ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
অন্তর্বর্তী সাহায্যের কথা ঘোষণা কেরল সরকারের
কেরল সরকারের তরফে শুক্রবারের ঘটনায় ৪ শ্রমিকের পরিবারের জন্য শনিবার অন্তর্বর্তী সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারের নিকট আত্মীয়কে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি কালামাসেরি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি দুজনের বিনামূল্যে চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
দেহ পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস
এর্নাকুলামের ইলেকট্রনিক সিটিতে পিলার বসানোর সময় মাটে ধসে এই দুর্ঘটনা ঘটে। রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী ভি শিবণ কুট্টি এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি এদিন সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, লেবার কমিশনার এস চিত্রা এই তদন্ত করবেন। কেননা স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় সংস্থার অনুমতি ছাড়া এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্তের ব্যবস্থা ছাড়াও নির্মাণ কাজ চালানো হচ্ছিল। এদিকে, রাজ্যের শ্রম দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, দেহগুলি পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। দেহ পৌঁছে দেওয়ার খবর সরকারই বহন করবে বলেও জানানো হয়েছে।
দেহ ফেরানোর আর্জি জানিয়েছিল পরিবারগুলি
শুক্রবার মৃত্যুর খবর আসতেই পরিবারগুলির তরফে উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ার স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দেহগুলি ফেরানোর আর্জি জানানো হয়। পাশাপাশি আর্থিক সাহায্যের জন্যও আবেদন করেছিল পরিবারগুলি। এব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অবস্থান জানা না গেলেও কেরল সরকারের তরফে সাহায্য করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। পরিবারগুলি এখন দেহ ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায়।