কেরলে সিএএ নিয়ে ধুন্ধুমার ! 'গো ব্যাক' স্লোগানের মুখে রাজ্যপালকে ঘিরে সিএএ নিয়ে তোলপাড়
ফের একবার সিএএ ইস্যুতে উত্তপ্ত হল দক্ষিণের রাজ্য কেরল। সেখানে এদিন বিধানসভায় রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান প্রবেশ করতেই তাঁকে ঘিরে শুরু শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। মূলত কেরলের কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ এক তরফে এমন বিরোধিতা শুরু হয় এদিনের অধিবেশনের শুরুতেই।
|
কেরল ও সিএএ ইস্যু
সিএএ ইস্যুতে রীতিমতো তোলপাড় কেরল। গত একমাস ধরেই সেখানের বাম সরকারের সদস্যরা যেমন এই আইনের বিরোধিতায় রাস্তায় নামেন, তেমনই বিরোধী পক্ষ কংগ্রেসের ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টও এই আইনের চরম বিরোধিতা করে। তবে তারই মধ্যে এই আইনের সমর্থনে একাধিকবার মুখ খুলেছেন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। এরপর এদিন কেরল বিধানসভায় ঢুকতেই তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষভ দেখাতে শুরু করেন কংগ্রেস জোটের বিধায়করা।
|
'রাজ্যপালকে ফিরিয়ে দিন'
বহু বিধায়কের হাতে এদিন দেখা যায় একাধিক প্ল্যাকার্ড। সেখানে 'রাজ্যপালকে ফিরিয়ে দিন' বলে বার্তা দেওয়া থাকে। বহু প্ল্যাকার্ডে সাফ বার্তায় লেখা রয়েছে 'সিএএ প্রতিহত করতে হবে'। আর তাতেই স্পষ্ট যে কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদের সিএএ সমর্থনকে মেনে নিতে পারছেনা কেরল।
|
কী ঘটেছে কেরলের বিধানসভায়?
কেরল বিধানসভায় এদিন রাজ্যপাল প্রবেশ করতেই তাঁর রাস্তায় বাধা হিসাব দাঁড়িয়ে পড়েন বিধায়করা। এরপরই ওঠে 'গেব্যাক স্লোগান'। রাজ্যপালের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বিক্ষোভকারীদের রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার আবেদন করেন। এরপর রাজ্যপালকে পোডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর জাতীয় সঙ্গীত শুরু হয়। কিন্তু জাতীয় সঙ্গীতের সমাপ্তিতে ফের একবার বিক্ষোভ শুরু হয় ও ইউডিএফ বিধায়করা সভা ছাড়েন।
|
আরিফ মহম্মদ ও কেরলের রাজনীতি
এর আগে, কেরল বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাশ হতেই তাকে অসংবিধানিক বলে দাবি করেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। তারপরই বামশাসিত রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ আরও প্রকট হয়। অন্যদিকে, কংগ্রেসের তরফে কপিল সিব্বল কটাক্ষ করে বলেন যে, সংবিধান দেখতে হলে তিনি নিজে আরিফ মহম্মদ খানকে একটি সংবিধানের 'কপি' দিতে রাজি রয়েছেন। প্রসঙ্গত, পেশায় আইনজীবী আরিফ খান ও কপিল সিব্বল এককালে সতীর্থ ছিলেন।