
শপথ লঙ্ঘনের অভিযোগে অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি কেরলের রাজ্যপালের, চিঠি ফেরালেন মুখ্যমন্ত্রী
কেরলের অর্থমন্ত্রী কেএন বালাগোপালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের চিঠি ফেরালেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। রাজ্যপাল অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর মন্ত্রিসভার সহকর্মীর ভাষণ সাংবিধানিক বিধি লঙ্ঘন করেছেন। সেই কারণে তিনি উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছিলেন। সংবাদ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের চিঠি ফিরিয়ে দিয়েছেন।

রাজ্যপালের অভিযোগ
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দেওয়া চিঠিতে রাজ্যপাল বলেছেন, অর্থমন্ত্রী বালাগোপাল, গত সপ্তাহে তিরুবন্তপুরমের একটি ক্যাম্পাসে বক্তৃতা দিতে গিয়ে আঞ্চলিকতা ও প্রাদেশিকতার আগুন জ্বালাতে এবং ভারতের ঐক্যকে ক্ষু্ণ্ণ করতে চেয়েছিলেন। রাজ্যপাল বলেছেন, অর্থমন্ত্রী কেএন বালাগোপাল কেরল ও অন্য রাজ্যগুলির মধ্যে ফাটল তৈরি করতে চান। রাজ্যপাল আরও অভিযোগ করে বলেছেন, মন্ত্রী এমন একটা মিথ্যা ধারনা তৈরি করতে চান, যে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন রকমের ব্যবস্থা রয়েছে।
চিঠিতে রাজ্যপাল কেরলের শিক্ষামন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকেও নিশানা করেছেন। পাশাপাশি বলেছেন, অর্থমন্ত্রী কেএন বালাগোপালের রাষ্ট্রদ্রোহী মন্তব্যকে তিনি আমল দিচ্ছেন না।
রাজ্যপালের মিডিয়া অফিসের তরফে টুইট করে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভাকে রাজ্যপালের পরামর্শ দেওয়ার অধিকার রয়েছে।

মন্ত্রীর ভাষণ
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে কে এন বালাগোপাল দেশের বিভিন্ন অংশে ছাত্রছাত্রীদের ওপরে প্রশাসনিক ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন, যাঁরা উত্তর প্রদেশের মতো জায়গা থেকে এসেছেন, তাঁদের কেরলের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে বোঝা কঠিন মনে হতে পারে।
এব্যাপারে রাজ্যপালের অভিযোগ হল কেরল বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিয়াবত্তম ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী কেএন বালাগোপাল এবং রাজ্যের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী আর বিন্দুর মন্তব্য রাজ্যপালের ভারমূর্তি ও মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছে।

রাজ্যপালের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান
সংবাদ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন। অন্যদিকে রাজ্যপালের চিঠির পরে রাজভবনের বাইরে রাজ্যের শাসকদলের ছাত্রসংগঠনের তরফে প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়।

বিতর্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য নিয়োগ নিয়ে
যে বিষয় নিয়ে মন্ত্রীকে সরানোর দাবি করেছেন রাজ্যপাল, তার মূলে রয়েছে কেরলের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক। কেরলের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপচার্য নিয়োগ নিয়ে কেরলের রাজ্যপাল ও সেখানকার সরকারের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। কেরলের রাজ্যপাল আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যদের পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিলেন। যা নিয়ে উপাচার্যরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। হাইকোর্টর রাজ্যপালের নির্দেশের ওপরে স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
ভাইফোঁটা স্পেশাল: ভারতীয় রাজনীতিতে ভাই-বোন এবং তাঁদের সম্পর্ক