দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণকারীদের অগ্রাধিকার, অন্ধ্রের পর নতুন সিদ্ধান্তের পথে কেরল সরকার
অন্ধ্রের পথে কেরল, দ্বিতীয় ডোজের প্রত্যয়ীদের অগ্রাধিকার টিকাকরণে
একদিকে অক্সিজেনের ঘাটতি, অন্যদিকে ভ্যাকসিনের ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা, সব মিলিয়ে কোভিড ত্রাসে কাঁপছে গোটা দেশ। এরই মাঝে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিজ নিজ ভঙ্গিমায় পদক্ষেপ নিচ্ছে সকল রাজ্যই। অন্যদিকে ১ মে থেকে দেশের সমস্ত প্রাপ্ত বয়ষ্ককে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র। এদিকে অক্সিজেন উৎপাদন বৃদ্ধি ও সম্পূৰ্ণ প্রক্রিয়ার উপর সুষ্ঠু নজরদারি চালানোর লক্ষ্যে বিশেষ কমিটি গঠন করেছে তামিল সরকার। একইভাবে টিকাকরণের ক্ষেত্রে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ভ্যাকসিন কর্মসূচিকে নির্দিষ্ট নিয়মে বেঁধে ফেলতে তৎপর কেরল সরকারও।
দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণকারীদের অগ্রাধিকার
টিকাকরণের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণকারীরা পাবেন অগ্রাধিকার, এমনটাই জানান হয়েছে কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে। এদিকে ভ্যাকসিন কর্মসূচির জন্য নতুন করে নাম নথিভুক্তি চালু করতেই নানারকমের সমস্যার সম্মুখীন হয় কেরল সরকার। প্রথম ডোজের পর যাঁরা দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার অপেক্ষা করছিলেন, নাম নথিভুক্ত না করতে পেরে প্রশাসনিক দরবারে অভিযোগ জানাতে থাকেন তাঁরা। সেই সমস্যা মেটাতেই এহেন সিদ্ধান্ত, জানিয়েছে কেরল প্রশাসন।
কো-উইন পোর্টালে মিলবে দ্বিতীয় ডোজের তালিকা
দ্বিতীয় ডোজ সম্পর্কে বৃহস্পতিবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানান, "দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য প্রথমেই ভ্যাকসিন কেন্দ্রে ছোটার দরকার নেই। যাঁরা দ্বিতীয় ডোজ পাবেন, তাঁদের নামের তালিকা কো-উইন পোর্টালেই পাওয়া যাবে। প্রত্যেক টিকাকরণ কেন্দ্রের অফিসারদের কাছে তালিকা থাকবে। আশা কর্মী ও অন্যান্য সরকারি কর্মীদের মাধ্যমে নির্দিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।" দ্বিতীয় ডোজ শেষ হওয়ার পরই নতুন করে প্রথম ডোজ দেওয়া শুরু হবে, জানিয়েছে কেরল স্বাস্থ্য দফতর।
করোনা আবহে অক্সিজেনের তীব্র সঙ্কট, রোগী ভর্তি বন্ধ সুরাতের দুই সরকারি হাসপাতালে
প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে ফারাক বিস্তর
কেরল সরকার সূত্রে খবর, ২৮শে এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যের ৭১,৪৪,১২২ জন নাগরিককে টিকা দেওয়া হয়েছে। যদিও প্রথম ডোজ ৫৯,৬৭,৮৮৭ জন পেলেও দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন মাত্র ১১,৭৬,২৩৫ জন। স্বাভাবিকভাবেই প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ গ্রহীতাদের সংখ্যায় এহেন ফারাক দেখে চক্ষু চড়কগাছ সকলেরই। এই চূড়ান্ত পার্থক্য কমিয়ে আনার লক্ষ্যেই যে কেরল স্বাস্থ্য দফতরের এই নতুন সিদ্ধান্ত, তা বলাই বাহুল্য।
টিকাকরণের লাইনেই নেই কোভিডিবিধি!
ইতিপূর্বে টিকাকরণের ক্ষেত্রে দেশ জুড়ে দেখা গেছে কোভিড বিধিভঙ্গের চিত্র। ভ্যাকসিনের লাইনেই নেই শারীরিক দূরত্ব, টিকা প্রত্যয়ীদের মুখে নেই মাস্ক। এই চিত্রে বদল আনার জন্যে এইবারে কেরল সরকারকে অতিরিক্ত সাবধান হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। তিরুবনন্তপুরম, কোট্টায়াম ও পালাক্কারের ভ্যাকসিন কেন্দ্রে যে বিপুল ভিড় দেখা গিয়েছিল, সে বিষয়ে কেরলকে সচেতন হওয়ার আর্জি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যপর্ষদ।