ডিম দিয়ে তৈরি মেয়োনিজ আর খাবারে ব্যবহার করা যাবে না, কড়া পদক্ষেপ সরকারের
ডিম দিয়ে তৈরি মেয়োনিজ আর খাবারে ব্যবহার করা যাবে না, কড়া পদক্ষেপ সরকারের
এমন অনেক সুস্বাদু খাবার আছে যেখানে মেয়োনিজ ব্যবহার না করলে চলে না, আবার এই মেয়োনিজ অনেক খাদ্যে মেশালে রান্নার স্বাদও বেড়ে যায়। তবে এবার খাবারে আর ডিম দিয়ে তৈরি মেয়োনিজ ব্যবহার করা যাবে না। কেরলের সমস্ত হোটেল থেকে রেস্তরাঁতে একেবারে নিষিদ্ধ হল ডিম দিয়ে মেয়োনিজ। এই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ জানিয়েছেন, ডিম দিয়ে মেয়োনিজ কোনও খাবারে ব্যবহার করা যাবে না, এই আদেশ আজকের নয়, ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাক্ট ২০০৬ সালে এই আদেশ জারি করেছিল।
কী জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ
তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্যের কথা ভেবে খাদ্য নিরাপত্তা আগে নিশ্চিত করতে হবে। বৃহস্পতিবার স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মিটিং করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মন্ত্রী জানান, কাঁচা ডিম দিয়ে তৈরি মেয়োনিজ যদি সময় মতো খাদ্যে না মেশানো হয় তাহলে খুব বিপদের সম্ভাবনা থাকে। ডিম দিয়ে মেয়োনিজ হোটেল, রেস্তোরা, বেকারি থেকে ক্যাটারিং সার্ভিস সকলের ক্ষেত্রেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়ছে। এরা সকলেই এই বিষয়ে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। পাশাপাশি বীনা জর্জ জানান, কাঁচা ডিমের তৈরি মেয়োনিজ ব্যবহার না করে তাঁরা উদ্ভিজ্জ জাতীয় মেয়োনিজ ব্যবহার করতে পারেন।
নিষিদ্ধ হল ডিম দিয়ে মেয়োনিজ
মেয়োনিজ মূলত তৈরি হয় কাঁচা ডিম থেকে। এই মেয়োনিজ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় বার্গার, স্যান্ডউইচ, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, তন্দুরির-সহ অন্যান্য খাবারের সঙ্গে। ভালো করে সেদ্ধ না হওয়া ডিমের সাদা অংশ দিয়ে তৈরি হয় মেয়োনিজ। অনেক সময় সেই অংশ পচে গিয়ে খাদ্যে বিষক্রিয়া তৈরি করে। এই কারণে খাবারে ব্যকটেরিয়াও জন্মাতে পারে। এই ডিম পচে যাওয়ার কারণে খাদ্যে সালমোনেলা ব্যাকটিরিয়াও তৈরি হয়। যা খেলে মানুষের শরীরে অনেক ক্ষতি হতে পারে। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
খাদ্য বিষক্রিয়ার জেরে মৃত্যু একজনের
স্বাস্থ্য বিভাগের ফুড সেফটি উইং একটি আদেশ জারি করে জানিয়েছে, যে খাদ্যগুলি প্যাকেটজাত সেগুলিতে উৎপাদনের তারিখ ও এক্সপেয়ারি তারিখ দেওয়া উচিত। খাদ্য বিষক্রিয়ার কারণে ৩৩ বছর বয়সী রেশমি, পেশায় নার্স তিনি মারা যান। ঘটনাটি কোয়াট্টমের বাসিন্দা। তাছাড়া অনেকেরই অসুস্থতার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার কোচির এক বাড়ি থেকে ৫০০ কেজি পচা বরফে রাখা মুরগি উদ্ধার করা হয়েছে। মুরগি পচে যাওয়ার কারণে খুব দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। এই ঘটনার জেরে স্বাস্থ্য বিভাগ জোর নজরদারি চলাচ্ছে।