বন্ধ করে দেওয়া হল কোচি বিমানবন্দর! কেরালার বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৭-এ
কেরালার বন্যা-পরিস্থিতি ক্রমে আরও খারাপ হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৭। কোচি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শনিবার পর্যন্ত সমস্ত কাজ বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছে।
ক্রমশ খারাপ হচ্ছে কেরলের বন্যা পরিস্থিতি। বুধবার নতুন করে রাজ্যে বন্যার প্রকোপে আরও ১৬ জনের মৃত্য়ুর খবর পাওয়া গিয়েছে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্য়াটা দাঁড়িয়েছে ৪৭-এ। এদিকে শনিবার অবধি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কোচি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরও। অতি বৃষ্টি ও বন্যা পরিস্থিতির কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের নিরিখে, কোচি দেশের চতুর্থ বৃহত্তম বিমান বন্দর। কিন্তু বন্য়ার জল পৌঁছে গিয়েছে সেই বিমান বন্দরেরও। যার জন্য আগামী শনিবার বেলা ২টো পর্যন্ত বন্দরের যাবতীয় কাজকর্ম বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
২০১৩ সালেও বর্ষাকালে বন্য়ার জন্য বন্ধ রাখতে হয়েছিল কোটি বিমানবন্দর। কিন্তু সেবার ১২ ঘন্টাতেই অবস্থা সামাল দেওয়া গিয়েছিল। চেঙ্গালথরু খালটির মুখ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিমানবন্দর থেকে পেরিয়ার নদীর দিকে। তাতেই এবার বন্যা হলেও বিমানবন্দরে অসুবিধা হবে না বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। বুধবার বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দরের কাজ স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করতে বাধ্য হয়।
(আরও পড়ুন - কেরলে প্রবল বন্যায় শিশুকে উদ্ধার! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও হল ভাইরাল)
বিমান বন্দরের ডিরেক্টর এসিকে নায়ার জানান, অপারেশনাল এরিয়াটি পুরোটাই প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে আগামী ২-৩ দিন ভারি বৃষ্টি চলবে। ৪টি বড় পাম্প ব্যবহার করে বন্দরের জল বার করার কাজ চলছিল। কিন্তু এখন এতটাই জল বেড়ে গিয়েছে যে তা আর পাম্প করে বার করার মতো অবস্থা নেই। তবে শনিবারের মধ্যে বন্দরকে কর্মক্ষম করে তোলার জন্য তাঁরা আপ্রাণ চেষ্টা চালাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
(আরও পড়ুন - বৃষ্টির জেরে ধস, কেরলে মৃত বেড়ে ২৬, ভয়াবহ পরিস্থিতিতে জারি সতর্কতা)
এদিকে এদিন ফের জল ছাড়তে হয়েছে ইদুক্কি বাঁধ থেকে। এদিন সকাল থেকে তামিলনাড়ুর সীমানায় অবস্থিত মুল্লাপেরিয়ার বাঁধ উপচে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে ফের জল ছাড়তে হয় ইদুক্কি বাঁধ থেকে। এর ফলে গৃহহারাদের জন্য যে রিলিফ ক্যাম্পগুলি করা হয়েছে, সেগুলিও প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা গিয়েছে।
কেরালার ১৪ টি জেলার মধ্যে ১২টিতেই রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। অতিবৃষঅটির জেরে সরকার রাজ্যের ৩৯ টি বাঁধের ৩৩ টি থেকে জল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। ফলে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বহু এলাকা। মঙ্গলবার রাত থেকে অন্তত ১২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছিল। এদিন বিকেলে মলপ্পুরমে একটি বাড়ির ধসে চাপা পড়ে। ওই ঘটনায় ৪ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে।
(আরও পড়ুন - প্রবল বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত কেরল, মৃত ২০, বিপর্যস্ত বিমান পরিষেবা)