আশার কথা শোনাতে পারলেন না কেরালার মুখ্যমন্ত্রী, বন্যায় মৃতের সংখ্যা পৌছল ১৬৪-তে
কেরালায় বন্যার মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৬৪। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছেন আল্লাপ্পুঝা, এর্নাকুলাম, পথনমথিত্তা এবং ত্রিশুর - এই ৪ টি জেলার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ।
কেরলের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কোনও আশার কথা শোনাতে পারলেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, পম্পা, পেরিয়ার চালাকুডি নদীগুলি থেকে এখনও দুকূল ছাপিয়ে জল ঢুকছে। আল্লাপ্পুঝা, এর্নাকুলাম, পথনমথিত্তা এবং ত্রিশুর - এই চার জেলার পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ বলে জানান তিনি।
চলতি মাসের ৮ তারিখ থেকে এখনও অবধি রাজ্যে বন্যার প্রকোপে মারা গিয়েছেন ১৬৪ জন মানুষ। বর্তমানে কেরালায় মোট ১৫৬৮ টি রিলিফ ক্যাম্প গড়া হয়েছে। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ২ লক্ষ ২৩ হাজার গৃহহীন মানুষ। কেন্দ্র থেকে ১ লক্ষ করে ফুড প্য়াকেট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বন্যাক্রান্ত মানুষগুলোর জন্য তা যথেষ্ঠ নয় বলেই জানিয়েছে রাজ্য।
[আরও পড়ুন: বাজেপেয়ীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েও অসহিষ্ণুতার শিকার, আক্রান্ত স্বামী অগ্নিবেশ]
বিজয়ন জানিয়েছেন, পথনমাথিত্তার বিভিন্ন এলাকায় এখনও বেশ কিছু মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছেন। নৌকোয় করে তাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার কাজ কঠিন হচ্ছে। তাই জেলা-প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই মানুষদের হেলিকপ্টারে করে তুলে রিলিফ ক্যাম্পে নিয়ে আসার।
জানা গিয়েছে ওই এলাকার অধিকাংশ বাড়িরই একতলা চলে গিয়েছে জলের তলায়। কেউ কেউ ছাদে, কেউ বা বাড়ির দোতলায় আশ্রয় নিয়েছেন। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে হেলিকপ্টারের সাহায্যে তাঁদের উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। গোটা রাজ্যে এখনও অবধি ১৪ টি সেনার দল কাজ করছে। তাদের সঙ্গে নৌসেনাবাহিনীর ১৩ টি দল আছে ত্রিশুরে, ১০টি ওয়ায়ান্দে, ৪টি চেঙ্গান্নুরে, ১২টি আলওয়ে-তে ও আরও ৩টি দল নিযুক্ত আছে পথনমথিত্তায়।
উপকূলরক্ষা বাহিনীর ২৮ চি দলও কাজ করছে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে। তাদের দুটি হেলিকপ্টারও উদ্ধারের ও ত্রাণের কাজে পাঠানো হয়েছে। নৌসেনার হেলিকপ্টার রয়েছে ৩টি। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৩৯ টি দল কাজ করছে কেরালায়। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন আরও ১৬ দল চেয়েছেন কেন্দ্রের কাছে।
[আরও পড়ুন: 'বাজপেয়ী একদিন প্রধানমন্ত্রী হবে', ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন নেহরু ]
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ইদ্দুকি ও ওয়ায়ান্দ জেলাদুটি রাজ্যের বাকি অংশ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ফেরানোর কাজ চলছে। বৃষ্টি এই দুই জেলায় অনেকটাই ধরে এসেছে বলে দ্রুত জল নামার আশা করেছেন বিজয়ন।
[আরও পড়ুন:নতুন বউমার জন্য নিজের হাতে চা করে এনেছিলেন বাজপেয়ী, দেখে অবাক সকলেই]
কোনও আশার কথা সোনাতে না পারলেও রাজ্যবাসীর ভয় পাওয়ার কিথু নেই বলেই জানিয়েছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য ও কেন্দ্রের যাবতীয় মেশিনারিকে উদ্ধার ও ত্রাণের কাজে লাগানো হয়েছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন প্রত্যেকের কাছে সাহায্য ও অবশ্যই পৌঁছবে। রাজ্যবাসীকে শান্ত থাকতে ও উদ্ধারকারীদের নির্দেশ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।