৪০০ ছাড়াল মৃতের সংখ্যা, বিদ্যুৎ-জলহীন কেরলে অন্য আতঙ্কে আমজনতা
কেরলে রবিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। তিন লক্ষের বেশি মানুষ গৃহহীন, আশ্রয়হীন জীবন কাটাচ্ছেন।
কেরলে রবিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। তিন লক্ষের বেশি মানুষ গৃহহীন, আশ্রয়হীন জীবন কাটাচ্ছেন। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল, সেনা, নৌসেনা, উপকূলরক্ষী বাহিনী বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়ে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে। পাশাপাশি বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ বিলির কাজও চলছে জোরকদমে।
বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে রোগের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ছে বলে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যদিও সেভাবে কোনও রোগই ছড়ায়নি। তবুও আতঙ্কে রয়েছেন মানুষ। কারণ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বন্যার জল সরতে শুরু করলেই বিভিন্ন রোগের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিভিন্ন জেলা থেকে লাল সতর্কতা সরিয়ে নেওয়া হলেও সতর্কতা জারি রয়েছে। অন্তত ১০টি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি রয়েছে। কেরলের বন্যায় অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হেলিকপ্টারে বন্যা দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখেন। এছাড়া কেরলের মুখ্য মন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও বিভিন্ন সময়ে দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখে প্রশাসনরে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃষ্টি কমে যাওয়ায় ইডুক্কি, ইডামালায়, পেরিনগালকুতু ও সবরিগীরের বাঁধ থেকে জল কম ছড়িয়ে পড়ছে। কেরলের মন্ত্রী কেজে আলফোনস বলেছেন, কেরলের মানুষের খাবার ও জামাকাপড়ের থেকেও বেশি ইলেকট্রিশিয়ান ও জলের পাম্প সারানোর মিস্ত্রি প্রয়োজন। কারণ জল নেমে গেলে এই দুটি জিনিস সারাই করতে প্রচুর মানুষের প্রয়োজন হবে। সেটা জোগাড় করাই চ্যালেঞ্জ বলে তিনি জানিয়েছেন।
পাশাপাশি কোচি বিমানবন্দর ফের একবার ব্যবহারের উপযুক্ত হয়ে গিয়েছে। ভারতীয় নৌসেনার তরফে আরআর আইয়ার একথা জানিয়েছেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছে।
কেরলের ত্রাণ শিবিরে ১০ লক্ষের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। জেলাশাসকরা তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন। কেরলের মৎস্যদজীবীরা সবচেয়ে বেশি তৎপরতা দেখিয়েছেন। অন্তত ৬০০টি বোটে করে সারা কেরল জুড়ে তাঁরা মানুষকে উদ্ধার করে চলেছে বলে সরকারি তরফে জানানো হয়েছে।