কেরলের বন্যা শুধুই ‘গুরুতর’, ‘জাতীয় বিপর্যয়’ নয়! রাহুলের দাবি নস্যাৎ মোদী সরকারের
কেরলের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির বিচারে ‘জাতীয় বিপর্যয়’ ঘোষণার দাবি তুলেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। শেষপর্যন্ত কেরলের বন্যাকে ‘ভয়ানক’ স্বীকার করলেও ‘জাতীয় বিপর্যয়’ বলে ঘোষণা করল না কেন্দ্র।
কেরলের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির বিচারে 'জাতীয় বিপর্যয়' ঘোষণার দাবি তুলেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। শেষপর্যন্ত কেরলের বন্যাকে 'ভয়ানক' স্বীকার করলেও 'জাতীয় বিপর্যয়' বলে ঘোষণা করল না কেন্দ্র। সোমবার কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ঘোষণা করেছে, কেরলের বন্যা 'গুরুতর প্রাকৃতিক দুর্যোগ'। 'ক্যালমিটি অফ সিভার নেচার'।
সোমবার হলফনামা দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে কেরলের বন্যাকে 'গুরুতর দুর্যোগ' হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। কোনও দু্র্যোগ যত বড়ই হোক তাঁকে 'জাতীয় বিপর্যয়' ঘোষণা করার কোনও ব্যবস্থা আইনে নেই বলে সেই ঘোষণায় বর্ণনা করা হয়েছে। তাই কেরলের বন্যা শুধু 'গুরুতর', 'জাতীয় বিপর্যয়' নয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক আধিকারিকের কথায়, কেরলের বন্যার তীব্রতা ও মাত্রা বিবেচনা করে 'গুরুতর প্রাকৃতিক বিপর্যয়' বলা যেতে পারে, কিন্তু 'জাতীয় বিপর্যয়' বলা যায় না। কেরলের বন্যার ভয়াবহতা দেখে অনেকেই এই বন্যাকে শতাব্দীর সবথেকে বিধ্বংসী বন্যা রূপে বর্ণবা করেছিলেন। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে বন্যার ভয়াবহতা ও ব্যাপকতা এতটাই ছিল ১০ লক্ষাধিক মানুষকে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দিতে হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে চার শতাধিক।
কেরলে সেনা নামিয়ে দুর্গম এলাকা থেকে মানুষকে উদ্ধার করতে হয়েছে। বায়ুসেনা, নৌসেনা, উপকূলরক্ষী বাহিনী, জাতীয় বিপর্যট মোকাবিলা বাহিনী নামিয়ে বহু মানুষকে রক্ষা করা হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা কাজ করেছেন। কেরালার নটি জেলা জলের তলায় চলে গিয়েছে। এই অবস্থায় সমস্ত পরিষেবা বন্ধ। ঘরবাড়ি ভেসে গিয়েছে জলের স্রোতে। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে অট্টালিকাসমূহ। এখন পর্যন্ত ২০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কেরলের বন্যায়।
[আরও পড়ুন:কেরলের স্বপ্নসুন্দর 'হানিমুন ডেস্টিনেশন' মুন্নারের পরিস্থিতি এখন কেমন! দেখুন ভিডিও ]
সেই বিচার করেই কেরলে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করা হোক বলে দাবি তুলেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি। তার তিনদিন পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কেরলের বন্যাকে ভয়াবহ মেনে নিয়ে গুরুতর দুর্যোগ আখ্যা দিল। কিন্তু জাতীয় বিপর্যয় বলল না। কেরলে বিপর্যয়ে পূর্ব ঘোষিত সমস্ত ছুটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। শুধু ২৫ আগস্ট থিরুভনাম দিবসে ছুটি পাবেন সরকারি কর্মীরা।
[আরও পড়ুন: কেরলে আটক রাজ্যবাসীর জন্য বাংলায় কল সেন্টার খোলা হোক, মোদীকে আবেদন অধীরের]
কেরলের বন্যায় ১০ লক্ষ মানুষ গৃহহীন, পাঁচ হাজার ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। বানভাসিদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে মন্দির, মসজিদ, গির্জার দরজা। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও ঝাঁপিয়ে পড়েছে কেরলের বন্যায় দুর্গতদের সাহায্যে। দেশে-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও বন্যার্থীদের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
[আরও পড়ুন:রাফালে নিয়ে রাহুলকে চিঠি! অভিযোগ অস্বীকার করে ব্যক্তিগত আক্রমণের জন্য ক্ষোভ অনিলের]